২১ দিন ৭টি করে আজওয়া খেজুর খেলে যা ঘটবে

Posted on

পবিত্র মক্কা ও মদিনা নগরীর উৎপন্ন হওয়া বিশেষ প্রজাতির এক ফল হচ্ছে আজওয়া খেজুর।শুধু সৌদি আরব নয় বরং সারা বিশ্বেই এই আজওয়া খেজুর বেশ প্রচলিত ও জনপ্রিয় একটি ফোল। রাসুল সাঃ সর্বপ্রথম নিজ হাতে এই খেজুর গাছ রোপণ করেছিল। এ খেজুর গাছ রোপণের পেছনে রয়েছে অনেক ইতিহাস যার ফলে আজওয়া খেজুরের রয়েছে বিশেষ বরকত ও ফজিলত।

স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীদের মতে, আজওয়া খেজুরের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শর্কর্‌ আমিষ প্রয়োজনীয় খাদ্যআঁশ ও প্রয়োজনীয় মানসম্মত ফ্যাট। যা শরীরের জন্য বেশ উপকারী খাদ্যাভাস হিসেবে কাজ করে।

আজওয়া খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞানীদের মতে, খেজুর খাওয়ার উপকারিতা অনেক খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শর্করা, আমিষ ও স্বাস্থ্যসম্মত ভ্যাট এবং খেজুরের পানীয় খুবই সুস্বাদু। খেজুরের পানীয়   তৃষ্ণা ও শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ করে থাকে। রাসূল সাঃ বলেছেন প্রতিদিন নিয়ম করে সকালে বা রাতে কয়েকটি করে আজওয়া খেজুর খেলে সেই রাতে বা দিনে কোন আপনার শরীরে  বিষ বা যাদু আপনার শরীরে কাজ করবে না। প্রতিদিন নিয়ম করে আজওয়া খেজুর খেলে আপনার শরীরে ক্যান্সার আক্রমণ করতে পারবে না।

টানা 21 দিন সাতটি করে আজওয়া খেজুর খেলে আমাদের শরীরে কি কি পরিবর্তন হয়। আমরা অনেকেই জানি না, যে কোন বিষয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে ও যাবতীয় জাদুটোনার হাত থেকে রক্ষা পেতে  রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম দৈনিক সাতটি করে আজওয়া খেজুর খেতে বলেছেন, সুবহানাল্লা্‌ এর হাদিস নম্বর 5445 এছাড়াও 8472 নম্বর হাদিসে হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেছে।

২১ দিন ৭টি করে আজওয়া খেজুর খেলে যা ঘটবে

যে ব্যক্তি সাতটি আজওয়া খেজুর প্রতিদিন আহার করে তার পাকস্থলীর প্রতিটি রোগ নির্মূল হয়ে যায় সুবহানাল্লাহ। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম  টানা 21 দিন সাল্লাহু আলাই সালাম এর হাদিস অনুসরণ করে, যদি কেউ সাক্ষী করে খেজুর দৈনিক খায় তাহলে তার শরীরে কি কি ঘটবে,

* কোলেস্ট্রল ফ্যাট এবং বাড়তি পরিমাণে চর্বির না থাকায় এই সাতটি খেজুর আপনার শরীরে টানা 21 দিনে কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেক কমিয়ে দিবে। তখন আপনার শরীর থেকে ক্ষতিকর চর্বি ও পদার্থ অপসারিত হবে।

 

২১ দিন ৭টি করে আজওয়া খেজুর খেলে যা ঘটবে

*  আমাদের শরীরের জন্য প্রোটিন অত্যাবশ্যকীয় একটি প্রয়োজনীয় উপাদান আর খেজুর হল সবচেয়ে প্রোটিন সমৃদ্ধ ফল। ফলে আমাদের পেশি গঠন করতে সহায়তা করে।  যদি আমরা প্রতিদিন সাতটি করে খেজুর টানা 21 দিন খায় এছাড়াও ভিটামিন রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যেমন ধরুন ভিটামিন বি ওয়ান b2b এবং ভিটামিন এ ভিটামিন সি পাওয়া যায় আজওয়া খেজুরের মধ্যে।  আয়রন মানবদেহের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আর আজওয়া খেজুরের প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে ।

* রমজান মাসের রোজায়  আমাদেরকে প্রায় 15 ঘন্টা খালি পেটে থাকতে হয় যার কারণে আমাদের দেহে প্রচুর গ্লকোজের পরিমাণ দরকার হয় এই ঘাটতি আমরা খেজুর খেয়ে পূরণ করতে পারি।

* হৃদরোগীদের জন্য খেজুর অনেক উপকারী একটি খাবার।

* আমাদের মধ্যে যাদের শরীরে রক্ত উৎপাদন ক্ষমতা করুন ও শরীরে রক্তের ঘাটতি রয়েছে তাদের অবশ্যই উচিত প্রতিদিন নিয়ম মেনে খেজুর খাওয়া।

* খেজুর খেলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকগুলো বেড়ে যায় শরীরের পক্ষপাত এবং সব ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া গুলো ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে।

* প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিয়মিত আজওয়া খেজুর খেলে ফুসফুসের সুরক্ষার পাশাপাশি আমাদের মুখ গহ্বরের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব।

* টানা 21 দিন নিয়মিত আজওয়া খেজুর খেলে আমাদের শরীরের শর্করা, ক্যালরি ও ফ্যাট সম্পূর্ণ মূত্রথলির ইনফেকশন, গনোরিয়্‌ যৌনরোগ, ঠাণ্ডা জনিত সমস্যা ও কণ্ঠনালীর ব্যথা শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে অনেক কার্যকরী ভূমিকা ভূমিকা পালন করে।

পূর্ণ গবেষণায় দেখা যায় আজওয়া খেজুর পেটের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে জানান

ফলে এটা হৃদপিন্ডের কার্যক্ষমতা বাড়ায় তাই যাদের দুর্বল হৃদপিণ্ড তাদের জন্য আজওয়া খেজুর হতে পারে সবচেয়ে নিরাপদ ও ঔষধ ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে সহায়ক আর আজওয়া খেজুরের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা হাড়কে মজবুত করে।

খেজুর শিশুদের মাড়ি শক্ত করতে সাহায্য করে এছাড়াও ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে আজওয়া খেজুর পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এবং প্রাকৃতিক আসে পূর্ণ গবেষণায় দেখা যায় আজওয়া খেজুর পেটের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে জানান।

নিয়মিত আজওয়া খেজুর খান তাদের বেলায় ক্যান্সারের ঝুঁকি কম থাকে খুব সম্প্রতি একটি গবেষণায় উঠে এসেছে যে খেজুর অ্যাবডোমিনাল ক্যানসার রোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এবং অবাক করা বিষয় হচ্ছে এটি অনেক সময় ঔষধের চেয়েও ভাল কাজ করে সুবাহানাল্লাহ এই আজওয়া খেজুরের প্রচুর মিনারেল আয়রন থাকার কারণে আজওয়া খেজুর রক্তশূন্যতা রোধ করে।

আজওয়া খেজুর প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক গুন রয়েছে

তাই যাদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম তারা নিয়মিত আজওয়া খেজুর খেয়ে দেখতে পারেন এছাড়াও আজওয়া খেজুর প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক থাকার কারণে খুব দ্রুত শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে সারাদিন রোজা রাখার পর যদি আপনি দুটি আজওয়া খেজুর খান।

তবে খুব দ্রুত কেটে যাবে আপনার ক্লান্তি স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়াতে ও আজওয়া খেজুরের বিকল্প নেই খেজুরের নাম ভিটামিন পরিপূর্ণ থাকার কারণে। এটি মস্তিষ্কের চিন্তা ভাবনার গতি বৃদ্ধি রাখে স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়াতে। আজওয়া খেজুরের বিকল্প আজওয়া খেজুর নানান ভিটামিন এ পরিপূর্ণ থাকার কারণেই দেখা গেছে যে মস্তিষ্কের চিন্তা ভাবনার গতি বৃদ্ধি করে এই আজওয়া খেজুর সঙ্গে স্নায়ুতন্ত্রের কাজ।

স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীদের মতে, আজওয়া খেজুরের রয়েছে  শর্করা, আমিষ, স্বাস্থ্যসম্মত ফ্যাট ও প্রয়োজনীয়  খাদ্য আশ। যা আমাদের শরীরের খাদ্য ঘাটতি পূরণ করতে সহায়তা কজা। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি সিক্স ও  ভিটামিন সি ইত্যাদি। আরো রয়েছে একটি  বিশেষ উপাদান যা আমাদের চোখের সুস্থতার জন্য অনেক উপকারী ও প্রয়োজনীয় একটি উপাদজা।

আজওয়া খেজুরের প্রচুর ফাইবার থাকাতেই পেটের অসুখ বদহজম থেকে রক্ষা পাওয়া যায়

একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ছাত্র-ছাত্রীরা যদি নিয়মিত  আজওয়া খেজুর খায়, তাহলে তাদের দক্ষতা অন্যদের তুলনায় ভালো হবে। এছাড়াও শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি দূর করে আজওয়া খেজুর। পেটের অসুখ সারাতে আজওয়া খেজুরের বিকল্প নাই কারণ আজওয়া খেজুরের প্রচুর ফাইবার থাকাতেই পেটের অসুখ ও বদহজম থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

প্রতিদিন নিয়মিত আজওয়া খেজুর খেলে মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা ও স্মৃতিশক্তি অনেকটাই মজবুত হয় যার কারণে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত আজওয়া খেজুর খাওয়া উচিত।

gf

এছাড়াও হাটের ক্ষমতা বাড়ায় আজওয়া খেজুর। আজওয়া খেজুর ডায়েটারি ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে নিয়মিত আজওয়া খেজুর খেলে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।ফলে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে না। এছাড়াও সর্বশেষ যেটি বলবো সেটি হচ্ছে আমাদের ত্বকের উন্নতিতেও কিন্তু আজওয়া খেজুরের ভূমিকা অপরিসীম। ভিটামিন ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করা ।

আজওয়া খেজুর খেলে আপনাকে আরো কম বয়সি দেখাবে

ভিটামিন ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করাএবং ত্বক মসৃণ রাখে নিয়মিত আজওয়া খেজুর খেলে আপনাকে আরো কম বয়সি দেখাবে। এই শক্তিবর্ধক ফল আপনার শরীরে মেলানিন জমে যাওয়া রোধ করতে সহায়তা করবে। যার ফলস্বরূপ বার্ধক্যের প্রভাবগুলো মোকাবেলায় সহায়তা করবে প্রদর্শন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর সুন্নাহ অনুসরন করে দৈনিকটি করে আজওয়া খেজুর।

আমাদের এই পোষ্ট টি আপনার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন এবং আরো নতুন কিছু তথ্য পেতে আমাদের সঙ্গে থাকবেন ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *