হযরত ঈসা(আঃ) এর সাথে শয়তান কেন দেখা করেছিল

Posted on

আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা আশা করি আপনারা সকলেই ভাল আছেন, প্রিয় বন্ধুরা হযরত ঈসা আলাই সালাম এর সাথে শয়তানের কি কি কথা হয়েছিল একবার শয়তান বাজারে যাচ্ছিল 5 টি জিনিস বিক্রি করতে সেই জিনিস গুলো অদ্ভুত ধরনের জিনিস ছিল যা আপনাকে অবাক করে দিবে এবং সেই জিনিস গুলো আমরা সব সময় দেখতে পাই।

হযরত ঈসা(আঃ) এর সাথে শয়তান কেন দেখা করেছিল

একবার হযরত ঈসা আলাই সাল্লাম রাস্তা দিয়ে কোথায় যাচ্ছিলেন পথিমধ্যে তিনি শয়তানকে দেখতে পেলেন যে পাঁচটি খচ্চর নিয়ে উনার কাছে আসছি যখন শয়তান সেই খচ্চর গুলোকে নিয়ে হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের সামনে আসলেন তখন হযরত ঈসা আলাই সালাম শয়তান কে উদ্দেশ্য করে জিজ্ঞেস করলেন এই খবরগুলো কে নিয়ে তুমি কোথায় যাচ্ছ তখন জবাবে শয়তান হযরত ঈসা আলাইহিস সালামকে উদ্দেশ্য করে বলে এই খচ্চরের পিঠে পাঁচটি জিনিস আছে যা আমি বাজারে নিয়ে বিক্রি করব।

kyjui

আমি এই খচ্চর গুলারে বাজারে নিয়ে যাচ্ছে বিক্রি করার জন্য এই কথা শুনে হযরত ঈসা আলাই সালাম অত্যান্ত অবাক হয়ে গেলেন তিনি শয়তান কে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন করলেন পিঠে এমন কি আছে যা তুমি বাজারে নিয়ে বিক্রি করবে তখন জবাবে শয়তান হযরত ঈসা আলাই সাল্লাম কে উদ্দেশ্য করে বলল প্রথম খচ্চরের পিঠে রয়েছে জুলুম-অত্যাচার একথা শুনে হযরত ঈসা আলাই সাল্লাম আরও অবাক হয়ে শয়তানকে প্রশ্ন করলেন তোমার কাছ থেকে এই জিনিসকে খরিদ করবে শয়তান।

ঈসা আলাই সালাম অত্যান্ত অবাক হয়ে গেলেন

তখন জবাবে হযরত ঈসা আলাইহিস সালামকে বলে এটা আমি রাজা বাদশাহ এর কাছে বিক্রয় করব কারণ এই পৃথিবীতে যত রাজা আছে তার মধ্য থেকে অধিকাংশ রাজা ছিল এবং অত্যাচারী যদিও এর মধ্যে কিছু ভালো মানুষ আছে যারা মানুষের সাথে ইনসাফপূর্ণ আচরণ করেছে কিন্তু এছাড়া বাকি যারা আছে তারা সকলেই হচ্ছে জালেম এই কথা শুনে হযরত ঈসা আলাই সাল্লাম শয়তান কে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন করলে।

তোমার দ্বিতীয় খচ্চরের পিঠে কি আছে তখন জবাবে শয়তান হযরত ঈসা আলাইহিস সালামকে বলে এর মধ্যে আছে অহংকার আর এগুলো আমি জমিদার এবং যারা ধনী আছে তাদের কাছে বিক্রয় করব কারণ তারা সব সময়ই নিজেদের চাকচিক্য নিয়ে গর্ববোধ করে যার কারণে তারা তাদের সম্পদ আরো বাড়ানোর জন্য গরিব মানুষের হক ছিনিয়ে নেয় এবং জোরপূর্বক তাদের জায়গা জমি দখল করে এবং এ নিয়ে।

তারা অত্যন্ত অহংকার করে থাকে যে আমার কাছে এত জায়গা সম্পত্তি আছে আর এই সম্পত্তির অহংকার করে তারা মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন করে থাকে অতঃপর হযরত ঈসা আলাই সালাম শয়তান কে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন করে যে তোমার তৃতীয় খচ্চরের পিঠে কি এমন আছে তখন জবাবে শয়তান হযরত ঈসা আলাই সালাম কে বলে দ্বিতীয় খচ্চরের পিঠে রয়েছে ধোকা যেটা আমি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করব কারন ব্যবসায়ী হচ্ছে এমন কর্ম যেখানে সব সময় ধোকা দাড়ি লেগে থাকে এবং তারা মানুষকে।

ঈসা আলাইহিস সালামকে বলে

সব সময় ধোকা দিয়ে অবৈধ পন্থায় জিনিসপত্র বিক্রি করে থাকে এ কথা শুনে হযরত ঈসা আলাই সালাম শয়তান কে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন করেন তোমার চতুর্থ ঘরে কি এমন আছে তখন জবাবে শয়তান হযরত ঈসা আলাই সালাম কে বলে এর মধ্যে রয়েছে হিংসা যেটা আমি আলেমদের কাছে বিক্রয় করব এবং এর কারণ হচ্ছে তারা সবসময় নিজেদের এলাম নিয়ে গর্ববোধ করে এবং তার থেকে যদি কারো এর বেশি হয় তাহলে তার প্রতি সে অনেক হিংসাপরায়ণ হয়ে থাকে যদি আপনি একবার দৃষ্টিপাত করেন।

তাহলে দেখতে পাবেন যে পৃথিবীতে সর্বপ্রথম যে অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল সেটা হয়েছিল একটি হত্যাকান্ড যেটা হাবিলের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে কাবিলের হিংসার আগুনে জ্বলে পুড়ে তাকে হত্যা করে অতঃপর হযরত ঈসা আলাই সালাম শয়তানকে প্রশ্ন করে যে তোমার পঞ্চম খচ্চরের পিঠে কি আছে তখন জবাবে শয়তান হযরত ঈসা আলাই সাল্লাম কে বলে।

guik67ikjhkyujk

কি রয়েছে লজ্জাহীনতা এবং বেহায়াপনা যেটা আমি পৃথিবীর যত পাপাচারী নারী রয়েছে তাদের নিকট বিক্রয় করব তারা আমার নিকট থেকে ক্ষরিত করবে এবং নিজেদের অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে মানুষদেরকে তাদের প্রতি আকৃষ্ট করবে এই কথা বলে শয়তান তার খচ্চর গুলোকে নিয়ে সেখান থেকে চলে যায় এই ঘটনার আলোকে যদি আমরা বর্তমানের অবস্থা দেখি তাহলে দেখতে পাব যে শয়তান যে কথাগুলো বলেছে তার একদম হুবহু বাস্তবায়িত হয়ে গিয়েছে তখনকার সময় হয়ত শয়তানের এগুলো বিক্রি করার।

পাপাচারী নারী রয়েছে

প্রয়োজন পড়তো কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি এতটাই সঙ্গীন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে হয়ত শয়তানের এসব জিনিস গুলো বিক্রি করার কোন প্রয়োজন পড়ে না আজকের সময় রাজা-বাদশারা সাধারণত প্রজাদের উপর বিনা কারণে নানাভাবে অন্যায় অত্যাচার শুরু করে যাচ্ছে ধনী লোকেরা সাধারণ গরিব মানুষের রক্ত চুষে খাচ্ছে যখন রমজানের মাস আসে তখন ব্যবসায়ীরা জিনিস।

পত্রের দাম বাড়িয়ে আকাশচুম্বী করে ফেলে যার কারণে যত গরিব মানুষ রয়েছে তারা রমজানে ভালো কিছু খেতে পায়না আমাদের আলেম সমাজের মাঝে এই হিংসার মাত্রা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে এই আলেম ভালো ঐ আলেম খারাপ এই নিয়ে আমাদের মাঝে দ্বিধা দ্বন্দ্ব লেগেই থাকে আর পরিশেষে আজ বেহায়াপনা এমন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে যে আজ মহিলারা অতি সহজেই নিজেদের অঙ্গভঙ্গি দেখিয়ে তাদের প্রতি মানুষদেরকে আকৃষ্ট করে যাচ্ছে আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে এই সকল বিষয় থেকে হেফাজতে রাখুন আমিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *