আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম দুইটি গুরুত্বপূর্ণ কারণে মানুষের পতন হয় বলেছিলেন । প্রিয় পাঠক আজকের পোস্ট টি জুড়ে আমরা সেই দুইটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। যে দুটো বিষয় কোন মুসলমানের মধ্যে থাকলে তার পতন হবে সুতরাং পোস্ট টি শেষ পর্যন্ত দেখুন সহনশীলতা পরিশ্রম কষ্ট বীরত্বপূর্ণ জীবনযাপন এই ছবিতে অভিনয় জীবনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ।
যে কয়েক টি কারণে মানুষের পতন হয়
সুখ-দুঃখ আনন্দ মুসিবত সবসময় মুমিন এজাতীয় জীবন-যাপনে অভ্যস্ত হবে । কখনো পরিপূর্ন সুখ থাকবে না কখনো পরিপূর্ণ দুঃখ থাকবে না এ দুটোর মাঝে তুমি জীবন অতিবাহিত করে প্রকৃত মুমিন কখনো কারো প্রিয় হতে পারে না এমনকি সে পরিশ্রম বিমুখ কোমলতা প্রিয় অলস সুখ প্রত্যাশী দুনিয়ার পূজারী কখনোই হতে পারে না ।
এ কারণে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম তাঁর প্রিয় সাহাবী মুয়াজ বিন জাবাল রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু কে যখন ইয়ামিনের গভর্নর করে পাঠাচ্ছেন। ওই সময় তিনি তাকে কিছু গুরু ছিলেন হে মহান আরামপ্রিয় তা থেকে বিরত থাকবে । কেননা প্রকৃত মুমিন রা আরামপ্রিয় হতে পারেনা ।
আরাম আয়েশ তাদের খুব পছন্দ
মিশকাত শরীফ এছাড়াও হযরত আবূ উমামা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু এর বর্ণনা উল্লেখ করেন সাদাসিধে সাধারণ জীবনযাপনে কে বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈমানের নিদর্শন বলেছেন। দেখা গেছে দুনিয়ার জীবনের ছাড়াই আরামপ্রিয় খুব আরাম আয়েশ তাদের খুব পছন্দ সব সময় আর আমি দিকে ঝোঁকে তারা দুনিয়ার দিকে ঝুঁকে পড়ে।
দুনিয়ার আসক্তি তাদের ভেতরে প্রবেশ করে এবং এজন্যই মৃত্যুর ভয়ে তাদের ভিতর প্রবল আকার ধারণ করে এই সকল লোকের ধ্বংস অনিবার্য বলেছেন । প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বারবার সতর্ক করেছেন অতিমাত্রায় আরামপ্রিয় যেন মানুষ না হয় হাদিসে এসেছে রাসুল সাঃ সাহাবাদের সম্বোধন করে বলেছেন।
আমার উম্মতের উপর ওই সময় খুব কাছাকাছি
আমার উম্মতের উপর ওই সময় খুব কাছাকাছি যখন অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর লোকেরা তাদের উপর এমন ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়বে । যেভাবে লোকেরা খাবার গ্রহণে ঝাঁপিয়ে পড়ে তখন এক সাহাবী জিজ্ঞেস করল ইয়া রাসুল আল্লাহ নিশ্চয়ই তখন আমরা।
দুর্বল এবং সংখ্যায় কম হবক যার কারণে উন্নয়নের আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে আল্লাহর রাসূল বললেন না তখন সংখ্যায় তোমরা সবার থেকে বেশি হবে । কিন্তু তোমরা বন্যায় ভাসমান খর কুটার মত হবে দল-উপদলে বিভক্ত হয়ে যাবে একেকজনের একেক মত হয়ে যাবে।
- এস এস পরীক্ষায় অভিভাবক এর চাইতে বি এফ বেশি
- হিমালয়ের মৃত্যুকূপ কথায় জেনে নিন
- কেয়ামতের পুর্বে নতুন বিপর্যয়ের অপেক্ষায় পৃথিবী! সমুদ্রে দানবীয় গর্ত
বিভক্তি তৈরি হবে তোমাদের ভিতরে দুনিয়ার প্রেম তৈরি হবে সূর্য ভবনার আরাম-আয়েশে তোমরা মুসলমানরা বুঁদ হয়ে যাবে। তখন শত্রুদের অন্তরে তোমাদের প্রতি কোন ভয় থাকবে না তোমাদের প্রভাব চলে যাবে আর তোমাদের অন্তরে হীনমন্যতা কাপুরুষতা আক্রমণ করে বসে ।
একজন সাহাবী জানতে চাইলেন ইয়া রাসূলাল্লাহ কেন এই হীনমন্যতা আসবে
একজন সাহাবী জানতে চাইলেন ইয়া রাসূলাল্লাহ কেন এই হীনমন্যতা আসবে। আমাদের মত বীরের জাতি রণতরীটি হীনমন্যতা আসতে পারে তখন প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বললেন ওই দুটি কারণে আসবে দুনিয়ার প্রতি তোমাদের ভালোবাসা প্রবল মাত্রায় বেরিয়ে যাবে।
আর দ্বিতীয় হচ্ছে মৃত্যুকে তোমরা খুব ভয়ঙ্কর রকমের ভয় পেতে থাকবে। প্রদর্শক বাস্তবে বর্তমান মুসলমানদের মাঝে দুটি লক্ষনীয় হারে বাড়ছে । পরকালের তুলনায় দুনিয়ার জীবন কে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে একটা দুইটা চারটা একজনের ফ্ল্যাট দরকার একাধিক গাড়ি দরকার ব্যাংকে প্রচুর পরিমাণ অর্থ থাকা দরকার সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলার পেছনে দৌড়াচ্ছে।
প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম রেখে যাওয়া ভবিষ্যৎবাণী প্রতিফলিত হচ্ছে
মুসলমানরা প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম রেখে যাওয়া ভবিষ্যৎবাণী প্রতিফলিত হচ্ছে খুব দ্রুত যা থেকে বেরিয়ে আসলাম । মুমিন মুসলমানের জন্য একান্ত আবশ্যক মনে রাখতে হবে মুমিন মুসলমান সঠিক পথে ফিরে আসার জন্য অবশ্যই তাদের আরামের জীবন ত্যাগ করতে হবে।
তাদেরকে হতে হবে কষ্টসহিষ্ণু এবং আখেরাতকে দুনিয়ার ওপর প্রাধান্য দিতে হবে বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর দেখানো পথে জীবন পরিচালনা করাই হচ্ছে । আমাদের পরিত্রাণের একমাত্র উপায় আর সবসময় একটি দোয়া করতে হবে ।
আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিন আযাবিল কবর মিন আজাবি জাহান্নাম মাহিয়া হো মা-মাটি-মানুষ দাজ্জাল অর্থ হে আল্লাহ জাহান্নামের আজাব কবরের আজাব থেকে আশ্রয় চাই ।।জীবন-মৃত্যুর ফেতনা থেকে আশ্রয় চায় আর দাজ্জালের ফিতনা থেকেও ।
আল্লাহ তোমাকে দুনিয়া থেকে হেফাজত করুন
আপনার কাছে আশ্রয় কামনা করি । আল্লাহ তোমাকে দুনিয়া থেকে হেফাজত করুন পরকালের জবাবদিহিতা ইসলামের বিধি-বিধান মেনে চলার তৌফিক দান করুন । ইসলামের জীবন যাপনের মৃত্যুর ভয় থেকে পরকালের নাজাতের বেশি বেশি মৃত্যুর স্মরণ করার তৌফিক দান করুন আমিন।