মুসলিম মেয়েদের জন্য সাজসজ্জা করার ইসলামী বিধান

Posted on

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ মেয়েদের জন্য সাজসজ্জার এগারটি ইসলামী বিধান নিয়ে আজকের  আলোচনা কোরবো ইনশা আল্লাহ । রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন মহান আল্লাহ সৌন্দর্য পছন্দ করে। তবে এর একটি সীমারেখা নির্ধারিত আছে।

কোন সৌন্দর্য প্রদর্শন যেন পাপে পরিণত না হয়। কোন নারী যাদের কাছে বৈধ ভাবে যেতে পারবে যাদের সামনে বৈধভাবে হাঁটাচলা করতে পারবে তাদের সঙ্গে সাজসজ্জা করাটা মোটেই পাপের কিছু নয় বরং ইবাদাত যেসব সামগ্রী হালাল বস্তু দ্বারা তৈরি ।

মুসলিম মেয়েদের জন্য সাজসজ্জা করার ইসলামী বিধান

এবং যে সকল সাজসজ্জার দ্বারা আল্লাহর সৃষ্টি করা গঠনে কোন বিকৃতি ঘটে না তা ব্যবহার করা যায় । পরিষ্কার পরিছন্নতা ও সাজ-সজ্জা ইসলামী জীবন রীতির অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং ইবাদতের অংশ তাই নারীরা অবশ্যই সাজসজ্জা করবে।এটা ইসলামী শরীয়তের বিধান তবে ইসলাম নির্দেশ করে।

মুসলিম মেয়েদের জন্য সাজসজ্জা করার ইসলামী বিধান

যে স্ত্রী ঘরে তার স্বামীর জন্য সর্বোত্তমভাবে সাজসজ্জা করে স্বামীর উদ্দেশ্যে সাজসজ্জা করাটাকে এবাদত বলা হয়েছে । আজীবনের সঙ্গী অথবা সবসময় দেখছে বলে তার সামনে একেবারে অগোছালো থাকা ইসলামী শিক্ষাবিরোধী ।

ইসলামী বিধানের প্রথমটি হচ্ছে পোশাক

মেয়েদের জন্য 704 এগারটি ইসলামী বিধানের প্রথমটি হচ্ছে পোশাক । নারী ও পুরুষ যেহেতু পৃথক সত্তা তাই সৃষ্টিগতভাবে তাদের মধ্যে পার্থক্য আছে। এই পার্থক্য বজায় রাখা জরুরি তাই নারীদের জন্য পুরুষের কাটছাঁটের পোশাক পরিধান করা ।

এবং তাদের বেশ ধারণ করা নিষিদ্ধ। টাইট ফিট জামা , টাইট বোরকা, পাতলা পোষাক পরে বাইরে বের হবা কোন মুসলিম নারীর জন্য জায়েজ  নাই। বাবুইয়া জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু মহিলাদের কাঁদাবি অর্থাৎ মিশরের প্রস্তুতকৃত এক ধরনের সাদা কাপড় ।

আরো দেখুন…. 

এই কাপড়টা তিনি পড়তে নিষেধ করতেন । তারপর লোকেরা বলল একা পড়ে তার শরীর দেখা যায় না। এটা তো পাতলা না এর উত্তর। তিনি বলেন এই কাপড়ের ত্বক দেখা যায় না তা ঠিক, কিন্তু এই পোশাকগুলো এতটা আঁটোসাঁটো যে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ফুটে ওঠে।

তিনি আরও বলেন নারীদের স্যালোয়ার টাকলুর নিচে থাকা উচিত। নারীরা যে কোন কাঁচের তৈরি ধাতুর তৈরি চুরি বা অলংকার পরিধান করতে পারবে। সোনা, রূপা, তামা ইত্যাদির ধাতুর সব রকমের অলংকার ব্যবহার করতে পারবে।

ধাতুর অলংকার পরিধান করাতে ইসলাম কোন বাধা দেয় না

তাই কান ও নাক ফোড়ানোর পর এই সকল ধাতুর অলংকার পরিধান করাতে ইসলাম কোন বাধা দেয় না। তৃনমূল চুল কাটা অনেক সময় নারীদের বিভিন্ন প্রয়োজনে মাথার চুল কাটতে হয় । কোন অপারগতা অক্ষমতা বা বিশেষ ধরনের কোন রোগে আক্রান্ত হয়ে যদি সে চুল কাটে তবে ক্ষমা রয়েছে ।

কিন্তু এছাড়া মাথা মুন্ডন করা বা নারীদের চুল ছোট করে ফেলা ইসলামে বৈধ নয়। এটি গুনাহের কাজ হচ্ছে। নারীদের মুখে পশম হলে কি করনীয় । নারীদের গোঁফদাড়ি হলে মুন্ডিয়া ফেলা এটা কোনোভাবেই মুখে রেখে দেওয়া যাবে না।

তবে সব চেয়ে ভালো, কোন ভাবেই যদি কোন প্রক্রিয়ায় এসকল অবাঞ্ছিত লোম দূর থেকে তুলে ফেলা যায় । তাহলে আরো ভালো। 5 নং অনুচ্ছেদ বড় রাখা হাত পায়ের নখ বড় রাখা বিজাতীয়দের স্বভাব। ও একটি ঘৃণিত কাজ ।

অনেক সময় মুখের ভেতর ময়লা জমে খাবারের সময় পেটে চলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে । প্রতি সাপ্তাহে হাত পায়ের নখ কাটার সুন্নত । দুই সপ্তাহে একবার কাটলেও চলবে । তবে 40 দিনের বেশি না কাটা অবস্থায় অতিবাহিত হলে গুনাহ হবে ।

নেলপলিশ ব্যবহার না করায় অধিক নিরাপদ

পবিত্র বস্তু দ্বারা প্রস্তুত করা হয় তাহলে তা ব্যবহার করা যায় । তবে যেহেতু পানি প্রবেশের প্রতিবন্ধক তাই লুকিয়ে থাকা অবস্থায় ওযু ফরজ গোসল হবে না । থেকে তুলে ওযুর ফরজ গোসল করতে হবে।বারবার ওযুর সুবিধার্থে নেলপলিশ ব্যবহার না করায় অধিক নিরাপদ ।

বোধ হচ্ছে মেহেদী নারীদের জন্য সর্বদা হাত পা মেহেদী দ্বারা লাগিয়ে রাখা মোস্তা।  এতেসামি আনন্দিত হয় ওযু ও গোসলের কোন সমস্যা হয়না। কেউ কেউ পায়ে মেহেদী ভালো কি খারাপ নাকি গুনা হবে এমনটা ভেবে পায় মেহেদি লাগান না।

এবং এ সম্পর্কে একটা যুক্তি রয়েছে যে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম দাড়িতে, মেহেদী লাগাতেই মেহেদী কোনভাবে পায়ে লাগানো যাবেনা । এটা বেয়াদব কিন্তু এই চুক্তিটি একেবারেই সঠিক নয় নবীজি সাল্লাল্লাহু ইসলাম তাদের  লাগাতেন ।

তাই বলে কি আমরা পায়ে তেল লাগানো বন্ধ করে দিয়েছি ।মহানবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর ক্রিম ইত্যাদি ব্যবহার করতেন । তাই তেল ব্যবহার করার জন্য তবে কৃষ্ণ পাউডার যা এখন বর্তমান সময়ে পাওয়া যায়। এগুলো যদি হালাল বস্তু দ্বারা তৈরি হয়।

বস্তু হারাম হয় তাহলে ব্যবহার করতে কোন দোষ নেই

ইনগ্রেডিয়েন্টস দেখতে হবে যদি সবগুলো বস্তু হারাম হয় তাহলে ব্যবহার করতে কোন দোষ নেই। 8 নম্বর হচ্ছে পারফিউম বা বডি স্প্রে পারফিউম ও বডি স্প্রে ইত্যাদি কোনো ধরনের নাপাক বস্তুর বিস্তৃতির না থাকে , তাহলে তা ব্যবহার করা জায়েজ।

মুসলিম নারীরা গ্রহের মধ্যে অবশ্যই সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারবে । এতে তার কোনো বাধা নেই।তবে সাবধান কোনভাবেই বাইরে বের হওয়ার সময় সুগন্ধি ব্যবহার করা যাবে না। নারীরা নিজেদের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন উপায়ে ভ্রু চিকন করা আর যে প্রথা বর্তমানে প্রচলিত আছে, তা বৈধ নয় সহিঃ মুসলিম হাদিস নম্বর ২১২৫।

jgjgj

১০ নম্বর হচ্ছে দাঁত ফাঁকা করে।কিভাবে দাঁতের মধ্যে ফাঁকা তৈরি করা জায়েয নয়। তবে যেকোনো দাগ অস্বাভাবিক বাঁকা বা অতিরিক্ত থাকলে সোজা করা বা তুলে ফেলা বৈধ এতে কোনো বাধা নেই ।11 নম্বর হচ্ছে পরচুলা নারীরা পর্দা ব্যবহার করতে পারি । যদি তার সুধাবর্ষণ কাপড় বা এই জাতীয় কিছু তৈরি করা হয়।

সাজসজ্জার দ্বারা গুনাহ নয় বরং নেকী অর্জন করার তৌফিক দান করুক

এবং চুলের না হয় আর যদি মানুষের চুল দ্বারা তৈরি করা হয় । বা চুলের সাদৃশ্য হয় তাহলে এই পরচুলা ব্যবহার করা একেবারেই হারাম। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সমস্ত মা-বোনকে ইসলামিক নিয়ম অনুযায়ী সাজসজ্জা ধারণ করার তৌফিক দান করুক । সাজসজ্জার দ্বারা গুনাহ নয় বরং নেকী অর্জন করার তৌফিক দান করুক আমিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *