মুসলিম ভাই বোনদের জন্য গুরুত্বপুর্ণ তথ্য

Posted on

আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ স্ত্রীরা যে 6 টি কাজ করলে স্বামী পাগলের মত ভালবাসবে । অনেক সময় বোনেরা প্রশ্ন করে থাকেন স্বামী তাকে দেখতে পারে না তাকে ভালোবাসে না মহব্বত করে না এ ক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কি দেখাতে সর্বপ্রথম বলতে চাই। বোনেরা আমরা কখনোই কোনো ভন্ডদের কাছ থেকে তাবিজ সংগ্রহ করবেন কারণ এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।

মুসলিম ভাই বোনদের জন্য গুরুত্বপুর্ণ তথ্য

এবং প্রতারণা এতে আপনাদের কোন কাজ তো হবেই না বরং আপনি শিরকের গুনাহ গুনাহগার হয়েছে অনেক বোনেরা আছেন যারা ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে তাবিজের বিষয়ে বহু টাকা নষ্ট করেছেন। কিন্তু এতে আপনাদের কোন কাজ হবে না।

কারণ তারা শুধুমাত্র আপনার থেকে টাকা নিবে কোন উপকারে আসবে না এই সমস্ত বিষয়ে কোনদিন টাকা দিয়ে সমাধান হয় না কারণ এই সমস্যা গুলোর জন্য তাবিজ কোন কাজে আসে না চলুন জেনে নিই ।কোন 6 টি কাজ করলে আপনার স্বামী আপনাকে ভালোবাসবে এক নম্বর স্বামী যদি আপনার মতের বিরুদ্ধে যায় তার পরেও আপনি।

মুসলিম ভাই বোনদের জন্য গুরুত্বপুর্ণ তথ্য

স্বামীর সঙ্গেই কোন প্রকার তর্কে যাবেন না এর ফলে দেখবেন আপনার স্বামী আপনাকে মাথায় তুলে রাখবে ধরুন আপনার স্বামী আপনার জন্য একটি শাড়ি কিনেছি । কিন্তু সেই স্যারই আপনার খুব একটা পছন্দ হয়নি বাইশারী খুব একটা দামী ব্র্যান্ডের নয় আপনি আশা রেখেছিলেন ।

একটা শাড়ি নিয়ে আসবে

যে আপনার স্বামী আপনার জন্য খুব ভালো মানের একটা শাড়ি নিয়ে আসবে কিন্তু আপনার স্বামী আপনার জন্য নিম্নমানের একটা শাড়ি নিয়ে এসেছে । এতে করে এসে আপনার মতের বিরুদ্ধে গিয়েছে কিন্তু আপনার উচিত হবে আপনার স্বামীর সঙ্গে এই বিষয়ে কোন তর্ক না করা বরং তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে ।

তখন আপনি বলবেন যাক তুমি আমার জন্য যাইনি তো তাই আলহামদুলিল্লাহ তাও তো একটা শাড়ি তুমি আমাকে কিনে দিয়েছো হোক সেটা 500/1000 টাকা অনেকের তো সামনেই অনেকেইতো এর চাইতে ।বেশী দামে তার স্ত্রীকে শাড়ি কিনে দিচ্ছে কিন্তু আমার বেশি দামের শাড়ি দরকার নেই ।আমার স্বামী বেঁচে আছে এটাই অনেক তাই আপনার শুকরিয়া আদায় করা উচিত কিন্তু তা না করে অনেক বোন আছেন যারা অল্প কিছুতেই।

তারা তাদের স্বামীর কাছ থেকে দাবি করেন । যেন তাদের অনেক দামী দামী ব্র্যান্ডের শাড়ি কিনে দেওয়া হয় অনেকে বলে থাকেন আমাকে ওই ব্র্যান্ডের শাড়ি কিনে না দিলে আমি আত্মহত্যা করব কিন্তু এক্ষেত্রে একজন উত্তম স্ত্রী চরিত্র হবে আমার স্বামী যতটুকু সামর্থ্য ছিল ।

আমার জন্য ততটুকু পরিমাণ এর কিছু এনে দিয়েছে এজন্য তাদের শুকরিয়া আদায় করা উচিত আল্লাহর নিকট সুতরাং কোনভাবে স্বামীর মতের বিরুদ্ধে যাওয়া যাবে না ।আমি রেগে গেলে কোনো কথা বলবেন না স্বামী যখন রেগে যাবে তখন তিনি যা বলার বলুক আপনি কোন উত্তর দেবেন না ।

গাছের সঙ্গে যদি আপনি তর্ক করেন

বা আপনি পাল্টা জবাব দেবেন যদি আপনার কিছু বলার থাকে । তাহলে পরে বলবেন যখন তিনি ঠান্ডা হবেন তখন জবাব দিবেন এক্ষেত্রে একটা বিষয় মাথায় রাখবেন গাছের সঙ্গে যদি আপনি তর্ক করেন ।তাহলে কি গাছ কোন উত্তর দেয় আর যারা উত্তর দেয় না তাদের সাথে কি মানুষ তর্ক করে ঠিক তেমনি আপনার স্বামী যখন আপনার সাথে খারাপ ব্যবহার করছে তখন যদি আপনি কোন পাল্টা জবাব না দেন।

ওটাই ভালো হবে শয়তানের তরফ থেকে আসে শয়তান পারিবারিক কলহ সৃষ্টি জন্য গাছগুলো করিয়া থাকে। এক্ষেত্রে যদি স্ত্রী ধৈর্য ধারণ করে। তবে সে আল্লাহর কাছে অনেক উঁচু হয়ে যায় তৃণমূল হচ্ছে স্বামীর যারা কাছের মানুষ আছেন অর্থাৎ বাবা-মা তাদের যতটুকু সম্ভব সেবা করার চেষ্টা করবেন।

কখনো তাদের কষ্ট দেবেন কারণ একটি বিষয় মনে রাখবেন । যে আপনিও কোন না কোন একদিন শশুর শাশুড়ি হবেন ইনশাআল্লাহ কারণ ইতিমধ্যে আপনার একটি সন্তান রয়েছে । আগামী 20 বছর পরে তাকে কিন্তু আপনার বিয়ে দিতে হবে তখন আপনিও শাশুড়ি হয়ে যাবে সেই বিষয়টি মাথায় রেখে মুরুব্বীদের সেবা করি তাদের দোয়া।

আপনার শ্বশুর শাশুড়ির সেবা করছেন

আপনার স্বামী যখন দেখবেন যে আপনি আপনার শ্বশুর শাশুড়ির সেবা করছেন। যেমন তাদের খোঁজ খবর নেয়া বিভিন্নভাবে তাদের সেবা করা ইত্যাদি বিষয়গুলো যখন স্বামী দেখবেন । তখন সে আপনার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়বে এতে করে দেখবেন আপনার স্বামী আপনাকে মাথায় করে রাখবে।

কিন্তু অনেক বোন আছেন যারা শ্বশুর-শাশুড়ির সেবা করতে চায় না । উল্টো বলেন আমি আমার শ্বশুর শ্বাশুড়ীর সাথে থাকব না তাদের সেবা করতেও পারবো না । যদি আমাকে তাদের সেবা করতে হয় তাহলে আমি বাপের বাড়িতে গিয়ে থাকব আপনাকে বুঝতে হবে তারা একটু বয়স্ক মানুষ সুতরাং তারা টুকটাক ভুল করবে।

এক্ষেত্রে শ্বশুর-শাশুড়ী দের একটু বোঝা উচিত নয় । এটি আরেক বাড়ি থেকে এসেছে তার সাথে একটু ভালো ব্যবহার করা উচিত । কারণ আপনার মেয়ে যখন কোন ভুল করে তখন কিন্তু আপনি কিছুই বলেন না এখানে আমরা কিছু মিসটেক করে ফেলি তার নাম হচ্ছে স্বামী ।

jgj

আমি যখন ফিরে আসবে , তখন তার পুরো টাকার হিসেব যদি আপনি দেন । তাহলে আপনার স্বামী আপনাকে বিশ্বাস করবেন যে আপনি অযথা কোনো টাকা অপচয় করেননি । এর ফলে দেখবেন আপনার স্বামী আপনাকে খুব বিশ্বাস করবে এবং ভালোবাসা সোনাপুর হচ্ছে ।

আপনার বাসা বাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিপাটি করে রাখার চেষ্টা করবেন

ঘর পরিপাটি রাখা আপনার যতটুকু সামর্থ্য আছে ততটুকু পরিমাণে আপনি আপনার বাসা বাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। পরিপাটি করে রাখার চেষ্টা করবেন । সবচেয়ে পছন্দের কাজ বেশি বেশি আপনি যদি আপনার স্বামীকে খুশি রাখতে চান তাহলে অবশ্যই স্বামীর পছন্দ-অপছন্দ মেনে চলবে যে বিষয়টি আপনার স্বামী পছন্দ করে।

সে বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ করবেন আপনার স্বামী যে কাজটি অপছন্দ করে সে বিষয়টি থেকে দূরে থাকবেন। ধরেন আপনার স্বামী যে খাবারগুলো পছন্দ করে। সেগুলো তার সামনে পরিবেশন করবেন এই ছোটখাটো বিষয় গুলো দিয়ে।

আপনি চাইলে আপনার স্বামীর মন জয় করতে পারি।  কিন্তু একটি বিষয় মাথায় রাখবেন আপনার স্বামীর কোনো গোপন কথা বাইরে কারো সাথে শেয়ার করবেন ।না কারণ আল্লাহ তায়ালা নিজেই বলেছেন তোমরা একজন আরেকজনের পোশাক একজন আরেকজনের দোষ ত্রুটি গোপন রাখবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *