আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা আশা করি আপনারা সকলেই ভাল আছেন, কিভাবে ফেরেশতা মালাকুল মউত ইবলিশ শয়তান এর জান কবজ করবেন আর কতটা যন্ত্রণাদায়ক হবে সেই ইবলিশ শয়তানের মৃত্যু ৭০ হাজার ফেরেশতা শয়তানের দিকে কিভাবে ছুটে আসবে।
মালাকুল মউত যেভাবে ইবলিশ শয়তানের জান কবজ করবেন
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম বলেছেন কেয়ামতের দিন পৃথিবী ধ্বংসের সময় যখন আর একটি প্রাণী বেঁচে থাকবে না মহান আল্লাহ সুবহানাতায়ালা তখন ফেরেশতা মালাকুল মউত কে বলবেন হে মালাকুল মউত জান কবজ করার জন্য আমি এযাবত যত শক্তি ও ক্ষমতা দান করেছিলাম আজ তার দশগুণ বাড়িয়ে দিলাম দুনিয়া সৃষ্টির প্রথম থেকে কিয়ামত পর্যন্ত সমস্ত প্রাণীকুলের জান কবজ করতে তুমি যতটা না কষ্ট দিয়েছো তার দশগুণ পরিমাণ বেশি কষ্ট দিয়ে তুমি ইবলিশ শয়তানের জান কবজ করবে।
সর্বশক্তি দিয়ে এবং তুমি আমার গজবের পোশাক পরিধান করে ইবলিশ শয়তানের কবল থেকে প্রায় 70,000 গজবের ফেরেশতা ও অসংখ্য আগুনের তৈরী শেখর নিয়ে ইবলিশের জান কবজ করতে ছুটে আসবে তার এই ছোটা যদি কেউ দেখত তাহলে দুনিয়ার যাবতীয় চিনো মানুষ ভয়ে প্রাণ ত্যাগ করতে চাইত মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম বলেছেন।
গজবের পোশাক পরিধান
কেয়ামতের নিদর্শন গুলোর মধ্যে একটি নিদর্শন হল সূর্য পূর্ব দিকে উদয় হয় পশ্চিম দিক থেকে উদয় হবে এটা এমন সময় হবে যখন লোকজন সারাদিন কর্ম ব্যস্ততা শেষ করে শুয়ে পড়বে এবং ঘুমিয়ে পড়বে লোকজন ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে যাবে কিন্তু রাত আর শেষ হবে না লোকজন হয়রান হয়ে যাবে অবশেষে তিন দিন সমান দীর্ঘ রাতের অপেক্ষার পর সূর্য পশ্চিম দিক থেকে অধিক।
কিছুক্ষণ থাকার পর পুনরায় ডুবে যাবে এবং পুনরায় পূর্ব দিক থেকেও দিতে হবে এই দৃশ্য দেখার পর শয়তান চিৎকার করে কান্না করতে লাগবে আর বিলাপ করে বলতে থাকবে আমার মৃত্যুর সময় এসে গেছে হায় হায় ইবলিশ শয়তানের দল এই অবস্থা দেখে তাকে জিজ্ঞাসা করবে আমরা তো তোমাকে সারা জীবন এমন বিলাপ করতে দেখিনি আজ তোমার একি দশা হল কি হল তোমার তখন ইবলিশ শয়তান বলবে।
- জুমার আজানের শব্দে পল্টে গেলো খ্রীষ্টান রমনীর জীবন
- ওজন কমানোর ইসলামী পদ্ধতি টি শিখুন
- মুসলিম মেয়েদের জন্য সাজসজ্জা করার ইসলামী বিধান
অবশেষে সূর্য পশ্চিম দিক থেকে অনূদিত হয়েছে এটাতো আমার মৃত্যুর আলামত তারপর একবার হযরত আদম আলাইহিস সালাম মালাকুল মউত কে বলেছিলেন ইবলিশের মৃত্যুর দৃশ্য টা কি হবে তা আমাকে একটু বল মালাকুল মউত বয়ান করতে শুরু করল বয়ান এতোটাই কষ্টদায়ক তার ভয়ঙ্কর ছিল যে হযরত আদম আলাইহিস সালাম সে বয়ান শুনতে পারলেন না বললেন হয়েছে চুপ করো।
শয়তান চিৎকার করে কান্না করবে
আমি আর শুনতে পারছিনা ফেরেশতা মালাকুল মউত ইবলিশের জান কবজ করতে তার পিছনে ধাওয়া শুরু করলে সে দ্রুত পলায়ন করে দুনিয়ার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছোটাছুটি করতে তখন মালাকুল মউত তাকেনা ধরতে পেরে খুব রাগান্বিত হয়ে এমন এক হুংকার ছাড়বে তখন যদি দুনিয়ার কোন চিহ্ন বর্তমান থাকতো তবে সেই ভয়ঙ্কর শব্দে তারা সকলেই মৃত্যুমুখে পতিত হতে দুনিয়ার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তের ছুটির পর অবশেষে ক্লান্ত হয়ে।
হযরত আদম আলাইহিস সালামের কবরের কাছে এসে দাঁড়িয়ে বলতে থাকবে হে আদম শুধুমাত্র তোমার কারনে আমার আজ এত দুর্দশার এরপর তার যেখানে মৃত্যু নির্ধারিত আছে ঠিক সেখানে গিয়ে সে পড়ে যাবে তখন সেই জায়গাটি আগুনের লেলিহান শিখার মত লাল হয়ে উঠবে আর সেখানে জাহান্নামের দৃশ্য।
ভেসে উঠবে সেখানে পৃথিবীর সকল প্রাণীর যত কষ্ট সে সমস্ত পরিমাণ কষ্টের সাথে ইবলিশের জান কবজ করা হবে তারপর সে সময়ে সেখানে মালাকুল মউত তার দলবল নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে তাকে আগুনের জিঞ্জিরায় আবদ্ধ করে সকল আজাবের সাথে ইবলিশের জান কবজ করবেন তারপর মালাকুল মউত আল্লাহর আদেশে সকল ফেরেশতার রুহ কবজ করবেন।
ইবলিশের জান কবজ
তখন হযরত আদম আর হাওয়া আলাই সালাম কে বলা হবে তোমরা তোমাদের চিরশত্রু কে দেখো কতইনা কঠিন বিপদের উপর আপতিত হয়েছে সে মৃত্যুর এমন এক কঠিন জ্বালা ভোগ করছে সে তখন হযরত আদম ও হাওয়া আলাই সালাম এর দিকে তাকিয়ে কঠিন শাস্তি এবং মৃত্যুর মত যন্ত্রণা দেখবেন এবং বলবেন হে আমাদের মহান আল্লাহ আমাদের উপর আপনি আপনার নেয়ামত পরিপূর্ণ করেছেন।
যুগ যুগ ধরে এমন পাপিষ্ঠদের মৃত্যু কঠিনতম যন্ত্রণার মধ্যেই হয় ফেরাউন নমরুদ এবং আবু জাহেলের মতো অনেকেই যারা এই পৃথিবীতে এসেছে তাদের মত সকলকে আল্লাহতালা কষ্টের মৃত্যু দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে এরকম কষ্টের মৃত্যু থেকে হেফাজত করুন আমাদের সকলের মরণের যন্ত্রণাকে তিনি সহজ করে দিন আর শয়তান ইবলিশ এর কুমন্ত্রণা থেকে রক্ষা করে আল্লাহ তায়ালার হুকুম আহকাম এবং তার মনোনীত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর নাযিলকৃত জীবন বিধান মেনে চলার তৌফিক দান করুন আমিন.