প্রথমবার মানুষের কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ।

Posted on

মানব সভ্যতার শুরু থেকেই মানুষের মনে চাঁদনী অনেক কৌতূহল ছিল আমরা ছোটবেলায় শুনতাম চাঁদের বুড়ি থাকে যে চরকা দ্রুত কাটে এমনই নানা রকমের রূপকথায় ঢাকা হল চাঁদ হলে বিজ্ঞানীদের কাছে চন্দ্র অভিযান ছিল একটা অনেক বড় স্বপ্ন পৃথিবীর বাইরে কোন মহাজাগতিক স্থানে যাওয়া ছিল মানুষের কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ।

প্রথমবার মানুষের কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ।

২০জুলাই ১৯৬৯ সালে মানে আজ থেকে প্রায় ৫০ বছর আগে আমেরিকা এই স্বপ্ন পূরণ করে এবং পৃথিবীর প্রথম দেশ হিসেবে ইতিহাসে জায়গা করে নেয় যারা মানুষকে চাঁদে পাঠাতে সফল হয়েছিল এর আগে অনেকগুলো দেশ যেমন রাশিয়া ব্রিটেন ফ্রান্স এমনকি আমেরিকার নিজে এই কাজে অনেক বড় সফল হয়েছিল কিন্তু কুড়ি জুলাই ১৯৬৯ সালে আমেরিকা এমন একটি কাজ করে দেখায়।

tukjk7yr

যা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে এই মিশনের টেকনিশিয়ান একটি ইন্টারভিউ দিতে বলেন ৫০ বছর পরেও আজও সেই চন্দ্রযান-এর অভিজ্ঞতা তার চোখের সামনে ভেসে ওঠে চাঁদে যাওয়া প্রথম সভাপতির নাম হয়েছিল।

চাঁদে প্রথম অবতরণ করেন কে কে

অ্যাপোলো ইলেভেন এডমিশন এর সাহায্যে চাঁদে পৌঁছানো প্রথম ব্যক্তির নীল আর্মস্ট্রং এবং এডউইন অলড্রিন চাঁদের মাটিতে পা রাখেন এই অভিযান ছিল এখনো অভিযানের পঞ্চম তম এবং চাঁদে পৌঁছানোর তৃতীয় ও সফল যাত্রা আমেরিকার নাসা মহাকাশ গবেষণা সংস্থার এই মিশনকে মানুষের ইতিহাসে সবথেকে বড় ঘটনা হিসেবে তুলে ধরা হয়।

বর্তমানকালের একটি আইফোনে প্রায় 30 হাজার গুণ বেশি পাওয়ার আছে সে সময় চন্দ্রযান-এর ব্যবহার করা কম্পিউটারগুলোর থেকে বন্ধুরাও মিঠুর রয়েছে আপনাদের সাথে  অ্যাপোলো ইলেভেন মহাকাশযানে কমান্ডার ছিলেন নীল আর্মস্ট্রং নিয়ন্ত্রক ছিলেন মাইকেল কলিন্স এবং সহ নিয়ন্ত্রক ছিলেন এডউইন অলড্রিন এর মাত্র চারদিন পরে নীল আমস্ট্রং এডউইন অলড্রিন চাঁদের মাটিতে পা রাখা প্রথম মানুষ হিসেবে ইতিহাসে জায়গা করে নেন সেই সময়।

চাঁদের দেশের ইতিহাস

আমেরিকার রাষ্ট্রপতি মানুষকে চাঁদে পাঠানোর স্বপ্ন পূরণ করেন এই ঘটনাটি গত 100 বছরের মধ্যে হওয়া সবচেয়ে বড় ঘটনা মনে করা হয় এই মহাকাশযান লঞ্চ প্রক্রিয়াটি সরাসরি দেখার জন্য প্রায় 10 লক্ষ মানুষ জমায়েত হয়েছিলেন এবং প্রায় 60 কোটি মানুষ এই ঐতিহাসিক ঘটনা সম্প্রচার টিভিতে দেখেন এছাড়া তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট নিক্সন এই ঘটনা হোয়াইট হাউসের অফিসে বসে টিভিতে দেখেন।

মহাকাশযানটি স্যাটেলাইট রকেট এর মাধ্যমে ২০ হাজার ১৯৬৯ সালে সকাল নটা বেজে 32 মিনিট স্টেশন থেকে পাঠানো হয় এরপর মাত্র 12 মিনিটে তারা পৃথিবী কক্ষে পৌঁছে যায় এরপর তারা পৃথিবীর অভিকর্ষ শক্তিকে কাজে লাগায় এবং সেটি পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করার পর সেটি পৃথিবীর কক্ষপথের এগিয়ে যায় চাঁদের দিকে শেষ ভাক্তি মহাকাশযান থেকে আলাদা হয়ে যায় হাজার ৯৫৬ মহাকাশযানটি চাঁদের কক্ষে পৌঁছে যায় এরপর কমান্ডার নীল আর্মস্ট্রং চাঁদে অবতরণ করা জায়গাটি পরীক্ষা করেন।

চন্দ্র অভিযান কারী দলের অভিজ্ঞতা

সেটি তখন ল্যান্ডিং করার জন্য সঠিক হবে কিনা যেহেতু চাঁদের ভূমি খুবই উঁচু নিচু তাই একটি সমতল জায়গা খুব দরকার ছিল নিচে নামার জন্য চাঁদে পিংকি বেছে নেওয়া হয় কারণ এই জায়গাটি সমতল ছিল আর এই জায়গাটি বেছে নিতে রেঞ্জার ৮৪৫ এবং লিওনেরর বিজ্ঞানের সাহায্য নেওয়া হয়েছিল এরপর সেই ঐতিহাসিক সময় চলে আসে ২০ জুলাই ১৯৭০ এ অ্যাপোলো ইলেভেন মিশনের মহাকাশযানের একটি অংশ যার নাম দেওয়া হয়েছিল ঈগল যাদের করার কথা ছিল।

সেটি প্রধান মহাকাশ যান কলম্বিয়া থেকে আলাদা হয়ে যায় এই মহাকাশযানটি ভিতরে ছিলেন নীল আমস্ট্রং এডউইন অলড্রিন তাদের সাথে মাইকেল কলিন্স একাই কলম্বিয়া জানতে থেকে যান সেটি সুরক্ষার জন্য কারন পৃথিবীতে ফেরার সময় এটি তাদের দরকার পড়বে এদিকে নীল আর্মস্ট্রং অলড্রিন ডিজেল ইঞ্জিন স্টার্ট করে দেন এবং চাঁদের মাটিতে ল্যান্ড করার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন।

নীল আর্মস্ট্রং এর চন্দ্র অভিযান

এদিকে তিন লক্ষ ৮৬০০০ কিলোমিটার দূর থেকে এই মিশন এর পুরো ঘটনার উপর নজর রাখছিলো নাসা মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ল্যান্ড প্রক্রিয়া শুরু করার পর পৃথিবীতে থাকে স্পেস সেন্টারের পাঠানো হয় তবে তা নির্ধারিত সময়ের থেকে 4 সেকেন্ড আগে চলছিল এর মানুষ একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে।

মাইনোরিটি নামতে পারে এর ফলে গুলশানের কন্ট্রোলার এবং ডাইরেকশন আল কন্ট্রোল খারাপ সংকেত পাঠাতে শুরু করে দেয় এবং ডিম দিয়ে বাইরের দৃশ্য দেখতে ব্যস্ত ছিল তখন তাদের নজর পড়ে কম্পিউটার এর দিকে এই সময় তাদের পৃথিবী থেকে জানানো হয় ল্যান্ডিংয়ে কোন রকম সমস্যা হবে না এরই কিছু সময় পর রাত আটটা বেজে ১৭ মিনিটে একটি চাদে ল্যান্ড করে এরপর তারা মহাকাশযানের ভিতরে থেকেই সেই জায়গাটিকে পর্যবেক্ষণ করতে থাকেন।

চাঁদে মহাকাশযান ল্যান্ড করার প্রায় সাড়ে ৬ঘন্টা পর ২১ শে জুলাই রাত দুটো বেজে ৪০ মিনিটে নীল আর্মস্ট্রং চাঁদের মাটিতে প্রথম পা রাখেন এ সময় তিনি বলেন ডেট স্মল স্তেপ ফর মেন্ ওয়াচ ফর ম্যানকাইন্ড যার অর্থ চাঁদের বুকে মানুষের একটা ছোট্ট পদক্ষেপ কিন্তু মানবজাতির জন্য এটা অনেক বড় একটা শিপমেন্ট এরপর প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে আনুষ্ঠানিক অলড্রিন চাঁদের মাটি নমুনা এবং পাথর সংগ্রহ করেন।

ভারতের প্রথম চন্দ্র অভিযান

এরপর তারা সেখানকার অনেক ছবি তোলেন এবার তারা আমেরিকার পতাকা সেখানে উত্তোলন করেন অনেকেই ভাবেন এই ছবিটি ফেক কারণ চাদে হাওয়া নেই তাহলে এই পতাকা।

yjyhjyjk

ঘুরছে কিন্তু আপনি যদি ছবিটি একটু ভালভাবে লক্ষ করেন তাহলে দেখতে পাবেন এখানে এটিএম শেপের রড আছে যাই পতাকাকে মিলে রেখেছে এই ঘটনাটি বহু দূরে বসে পৃথিবীতে প্রায় 60 কোটি মানুষ টিভিতে দেখছিলেন এরপর তারা ধীরে ধীরে সব নমুনা সংগ্রহ করে তাদের এই গানটিতে তোলেন এবং তারা শান্তিতে উঠেপড়ে এর কিছু পরে মহাকাশযানটির সাথে যুক্ত হয়।

যেটা এতক্ষণ মাইকেল কলিন্স আমরা ছিলেন এবার তারা আবার পৃথিবীর দিকে যাত্রা শুরু করেন তাদের মহাকাশযানটি প্রশান্ত মহাসাগরে এসে পড়ে এবং আমেরিকার জাহাজ হর্নেট তাদের ওখান থেকে উদ্ধার করে আর এভাবেই মানব ইতিহাসে সবথেকে বড় ঘটনা সম্পূর্ণ হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *