পৃথিবীর একমাত্র কালো জাদুর যে দেশে

Posted on

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ আপনাদের প্রতি খুব কম মানুষই আছেন।  যারা ওমান দেশের নাম শুনেননি বাংলাদেশের অনেক ভাইয়েরা ওমানে প্রবাসী হিসেবে । আছেন সুতরাং ওমানের নাম সবাই শুনেছি এ পৃথিবীর মানচিত্রে সৌদি আরবের নিয়েছে ।

পৃথিবীর একমাত্র কালো জাদুর যে দেশে

এমন ছোট্ট একটি দেশ যেটিকে পৃথিবীর সবচেয়ে হাসিখুশি এবং শান্তিপূর্ণ দেশের মধ্যে একটি মনে করা হয়ে থাকে এই ছোট্ট দেশের জনসংখ্যা আপনি যতটা মনে করছেন। তার থেকে অনেক কম এ দেশে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা মাত্র 48 লাখ বলা হয়ে থাকে এটি একটি শান্তিপূর্ণ দেশ যে দেশে অপরাধ একদম হয় না বললেই চলে ।

যদি হয়েও থাকে সেটি খুবই সামান্য কিন্তু ওমান দেশের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা সেই সমস্ত জিনিস যেগুলো এদেশকে অন্য দেশ থেকে অনেক আলাদা করে দিয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এ দেশে বহু বছর আগে থেকে কালো জাদুর ভীষণ পরিচর্যা করা হতো এ দেশে প্রায় সমস্ত মানুষই তখন কালো জাদুর।

পৃথিবীর একমাত্র কালো জাদুর যে দেশে

ভীত হয়ে গেছিল ।এ কারণে ওমান দেশের পুলিশ না আজ পর্যন্ত অর্থাৎ এখন এমন সমস্ত মানুষদের ধরে নিয়ে যায় অ্যারেস্ট করে যারা মানুষের উপর কালো জাদু করার চেষ্টা করে এসময় সঙ্গে এই দেশে জিনদের অনেক অদ্ভুত কাহিনী প্রচলিত আছে।

দেশের মানুষদের মতামত অনুসারে তাদের দেশের ছোট-বড় পাহাড় কিনবে গাছগাছালি এখন দিন যাতে আল্লাহ ভাল জানেন মানে লোকজনের অভিমত হচ্ছে । দেশে এখনো লক্ষ লক্ষ জিন বসবাস করছে ওমান দেশের সঙ্গে এই কথাটিও বিখ্যাত আছে যে রাতের বেলা এই দেশের রাস্তা দিয়ে।

100 ভাগ নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না

চলাচল করার ট্যাক্সি গুলোতে বসে থাকা যাত্রীরা হঠাৎ করে গায়েব হয়ে যায় আবার কারো নাকি চেহারা পরিবর্তন হয়ে যায় আর যে কারণেই গাড়িচালক বা ড্রাইভার দের কে খুবই সমস্যার সম্মুখীন হতে। হয় এমনকি সে হতভম্ব হয়ে যায় আর হতভম্ব হওয়ার কারণে কোন কোন স্থানে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে ।

তবে সমস্ত কাহিনীগুলোর সত্য কি মিথ্যা সে সম্বন্ধে 100 ভাগ নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না তবে পত্র পত্রি। কেয়া বিভিন্ন ম্যাগাজিন নিয়ে তাদের এই তথ্যগুলো উঠে আসছে। নামক এক ঐতিহাসিক পুরনো শহর অবস্থিত হয়েছে এবং আশ্চর্যজনক অনুমান শুধুমাত্র একটি কথাতেই করতে পারবেন।

যে এই শহরকে এই পৃথিবীর মানুষ জিনদের শহর মনে করে থাকে। কেননা এই শহরের আশপাশে বসবাস করা মানুষদের মতামত এই যে শহরে হাজার হাজার বছর আগে লক্ষ লক্ষ দিন অবস্থান করতো । আর তারা এখনও অবধি এই শহরে বসবাস করে থাকে।

এছাড়াও একই বারেই মুগ্ধ স্থানীয় একটি ইমারত অবস্থিত রয়েছে । যেটি কে দেখতে অনেকটা প্রাচীন খেলার মত মনে হয় আর যাকে বাহালুল পর্ট নামে জানা হয়ে থাকে।  এই কালারটি কে এই পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ানক এবং সবচেয়ে অদ্ভুত কেল্লা হিসেবে জানা হয়ে থাকে কেননা ওমান দেশের বেশিরভাগ মানুষ যদি মনে করে থাকেন জেলাটিকে জিনেরা বানিয়েছিল ।আর এখানে বিশেষ কথাটি হলো যে এই কালারটি কে জিনেরা শুধুমাত্র।

  সেই শাসকদের সঙ্গে এমনটিই দাবি করেছিলেন

এক রাতের মধ্যে বানিয়েছিল । আর এটিকে একরাতে বানানোর পেছনে অনেক আশ্চর্য রকমের কাহিনীও জুড়ে দেয়া হয়েছে এলাকার মানুষদের এমনটি মতামত আজ থেকে 700 বছর আগে । যখন একটি ভয়ানক ফোর্স ঈশ্বরের উপর হামলা করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল তখন এই এলাকায় ।

তিনি শাসক ছিলেন তিনি জিনদের সাহায্য চেয়েছিলেন।  সেই শাসকদের সঙ্গে এমনটিই দাবি করেছিলেন। যে কিছু একটা করা হোক যার ফলে পুরুষদের হাত থেকে আমরা রক্ষা পাবো। আর সেই শাসকের আদেশ অনুযায়ী জিনেরা এই শহরে এক রাতের মধ্যেই একটি কেল্লা নির্মাণ করে দিয়েছিল ।

যখন আক্রমণকারীরা তাদের সামনে এমন কেল্লা কে দেখতে পেল। যে তারা অন্তত একদিন আগেও দেখিনি তখন শত্রুরা একেবারেই হতভম্ব হয়ে গেল আর ভয় পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের সমস্ত কিছু ছেড়ে দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে গেল।  আর এমনিভাবে এই শহরটি হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষা পেল।

যদিও এ কেল্লা সম্বন্ধে ঐতিহাসিকদের অন্য অনেক মতামত রয়েছে তাদের মতামত অনুসারে ভারত বেরো শতাব্দী সময় ভানু নিবার নামক এমন একটি কারখানা তৈরি করেছিল । যারা এই এলাকাটি তখন শাসন করতো কিন্তু এই শহরে বসবাসকারী মানুষজন আজও আমার বিশ্বাস করে থাকে।

হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ চীন বসবাস করে

এই খেলাতে আজ পর্যন্ত হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ চীন বসবাস করে এবং আরো অন্যান্য জিনিস যেগুলো আর যে কারণে এই পৃথিবীর মানুষ এই কেল্লা এবং এই স্থানটিকে সবচেয়ে ভয়ংকর স্থান হিসেবে মনে করে থাকে এর সঙ্গে সঙ্গে এ শহরে যে কথাটি সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত সেটি হল এ শহরে কোন ঘরে হঠাৎ করে আগুন লেগেছে ।

uiggbকোন ব্যক্তি এই আগুনের সমন্ধে কথা বলে তখন তারা সব সময় আওয়াজ কি নিচু করে। দেয় অর্থাৎ আস্তে আস্তে বলে কেননা তাদের একটি ধারণা যে যখন আমরা আগুনের সম্বন্ধে কথা বলি তখন তারাও আমাদের কথা শুনে থাকেন আর হতেও পারে এর ফলে।

আমাদের অন্য কোনো লোকসান করে দেবে এছাড়াও বাহালুল শহরে বসবাসকারী মানুষজন আরো অনেক কিছু দাবি করে থাকে তাদের কথা অনুসারে এখানে এমন একটি গাছ আছে। যে গাছ কে হাজারও বছরের পুরনো মনে করা হয় এ অঞ্চলের মানুষ রা বলে থাকেন।

শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল

যে হাজার বছর আগে আমাদের এই অঞ্চলে কালো জাদুর ভীষণ প্রভাব ছিল কালো যাদু এতটাই বেশি প্রভাব বিস্তার করে ফেলেছিল। একজন মানুষকে এই কালো জাদুর শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল কিন্তু সেই ব্যক্তি মারা যাওয়ার আগে এই গাছটিতে ব্ল্যাক ম্যাজিক করে রেখেছিল ।

আর তার মৃত্যুর পর যখন কোন মানুষ এই গাছটিকে ভুলবশত ছুয়ে দিল বা স্পর্শ করলো তাহলে সাথে সাথে সেই ব্যক্তি কোনো না কোনো বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাবে। আর এই বিষয়টি আজ পর্যন্ত এই গাছটি সঙ্গে জড়িত আছে মানে এখনও যদি কোন মানুষ এই গাছটিকে ছুঁয়ে থাকে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *