কেয়ামতের পুর্বে কেন ছোট হয়ে যাচ্ছে চাঁদ?

Posted on

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ, চাঁদ কি আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছে পৃথিবী থেকে কি ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে চাঁদ প্রতিবছরই পৃথিবী থেকে একটু একটু করে দূরত্ব বাড়াতে চান বিজ্ঞানীদের গবেষণায় উঠে এসেছে। এই চমকপ্রদ তথ্য হয়তোবা এক ইঞ্চি থেকে দেড় ইঞ্চি মতো দুরত্বে চাঁদ পৃথিবী থেকে খোলা চোখে আন্দাজ করা।

কেয়ামতের পুর্বে কেন ছোট হয়ে যাচ্ছে চাঁদ?

মানুষের পক্ষে একেবারেই অসম্ভব কিন্তু তাদের এই দূরে সরে যাওয়াটা সময়ের মতোই চলমান এবং কোনভাবেই এটিকে থামানো যাবেনা মধ্যাকর্ষণ শক্তি অদৃশ্য হলেও কার্যকর। আর তাই আজ থেকে লাখ লাখ বছর পর চাঁদের সাথে পৃথিবীর আর কোনো সম্পর্কই থাকবে না, সেসময় পৃথিবী থেকে চাঁদ কে আর দেখা যাবে না।

যদি দেখার সম্ভব হয় তবে সেটি কে দেখা যাবে। এই একটি ছোট তারা হিসেবে আমরা জানি যে পৃথিবী গ্রহের একমাত্র উপগ্রহ হল।

কেয়ামতের পুর্বে কেন ছোট হয়ে যাচ্ছে চাঁদ

ইজাদ লক্ষ কোটি বছর ধরে নির্দিষ্ট দূরত্বে পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে। সৃষ্টির শুরুতে চাঁদ পৃথিবীর নিকটবর্তী ছিল পাথরের ধ্বংসাবশেষ নিয়ে পৃথিবীর খুব কাছেই সে সময় ঘুরে বেড়াতো চাঁদ তৎকালীন সময়ে বর্তমানের চেয়ে চাঁদ পৃথিবীর কক্ষপথের দশগুণ বেশি কাছে ছিল যাবে ।

মঙ্গল গ্রহের মতো বড় আকৃতির দুটি বস্তুর

আমরা যে ধ্বংসাবশেষ দেখি বিজ্ঞানীদের মতে সেটি পৃথিবী এবং মঙ্গল গ্রহের মতো বড় আকৃতির দুটি বস্তুর সংঘর্ষের ফলে সৃষ্ট ওভেন থেকে বের হওয়ার পর চাঁদ উত্তপ্ত এবং গলিত অবস্থায় ছিল । এর রঙ ছিল না বর্তমানে পৃথিবী থেকে আমরা সূর্যকে যেমন লাল রঙের দেখি ।

সে সময়ের রাতের আকাশে চাঁদ ছিল ঠিক । তেমনই লা সেই সময় থেকে প্রতিবছর 8 ইঞ্চি দূরে দূরে সরে যান।  বর্তমানে অন্য গ্রহ চাঁদ কে আকর্ষণ করছে এবং সেই আকর্ষণের শক্তি পৃথিবীর তুলনায় বেশি চাঁদের মত গ্রহের উপগ্রহ গুলির নিজস্ব মধ্যাকর্ষণ শক্তি আছে।

নিজ নিজ গ্রহের মধ্যাকর্ষণ শক্তি প্রভাবের বিশেষ করে যেসব গ্রহের প্রাণী থাকবে সে সব গ্রহের মধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাব আরো বেশি পৃথিবীতে যে জোয়ার ভাটা দেখা যায় । সেটা কিন্তু চাঁদের প্রভাবেই হয় বিজ্ঞানীদের মতে চাঁদ পৃথিবীর মহাসাগর এর দিকে টানছে কিন্তু সেই মহাসাগর গুলো আবার পেছন দিকে টানছে ।

তাই চাঁদ তার কক্ষপথে গতি বাড়ছে চাঁদের গতি এভাবে যত বেশি বৃদ্ধি পাবে। পৃথিবী থেকে পালিয়ে যাওয়া যাদের জন্য তত বেশি সহজ হবে তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ এর জন্য বিজ্ঞানীরা অ্যাপোলো মিশন কেই বেছে নিয়েছে আপনার নভোচারীরা চাঁদের মাটিতে পা রেখে যেসব তথ্য সংগ্রহ করেছেন।

সে সময় শক্তিগুলো চাঁদকে পৃথিবীর কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দেয়

সেসব বিশ্লেষণ করেই তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এর পাশাপাশি আরও অনেক অনুষাঙ্গিক বিষয় রয়েছে চাঁদে উল্কাবৃষ্টি এবং পৃথিবীতে। যুগের উঠানামা ছিল সে সময় শক্তিগুলো চাঁদকে পৃথিবীর কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দেয় এর ফলে পৃথিবীর ঘূর্ণন দীর্ঘ হয় এবং আমাদের দিনের দৈর্ঘ্য ওভারে শুরুর দিকে।

যখন চাঁদ পৃথিবীর কাছে জমাট বাঁধা ছিল এবং পৃথিবীর দ্রুতগতির ছিল তখন একটি দিনের দৈর্ঘ্য ছিল মাত্র 4 ঘন্টা বাকি সময়টা ছিল রাত একটার সময় পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে পৃথিবীর কাছে চলে আসে এবং এর চারপাশে ঘুরতে শুরু করে।

বিজ্ঞানীদের পূর্বাভাস অনুযায়ী এখন থেকে প্রায় 60 কোটি বছর পর চাঁদ আর পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরবে না। এটি তখন একটি দূরের তারার মত হয়ে যাবে । সে সময় আর চাইলেও খালি চোখে চাঁদের সৌন্দর্য দেখা যাবে না। সে সময় চাঁদ পৃথিবী থেকে অনেক দূরের কোনো কক্ষপথে ঘুরবে।

মানবসভ্যতা যদি ততদিন পর্যন্ত টিকে থাকে। তবে সেটি দেখবে না কোন সূর্য গ্রহণ কিংবা জোয়ার ভাটার সময় সূর্যের আলোয় কোন বাধা দিবেনা চাঁদ পৃথিবী দিতে পারবে না। ছায়া কিন্তু দূরে থেকে দেখবে পৃথিবীর নির্মম পরিণতি ততদিনে সমুদ্রের পানির বাষ্প হয়ে যাবে পৃথিবী হয়ে উঠবে।

সূর্য চাঁদকে কক্ষপথ থেকে পুরোপুরি বিচ্যুত করে দেবে

বর্তমানের চেয়ে অনেকগুণ বেশী শত কোটি বছর পর।  সূর্য চাঁদকে কক্ষপথ থেকে পুরোপুরি বিচ্যুত করে দেবে।   পৃথিবীর পরিণতি হবে অত্যন্ত ভয়াবহ পুরো বিশ্বে তখন ভয়াবহ ভূমিকম্পের সম্ভাবনা দেখা দিবে। এটি পরিবেশের জন্য বয়ে আনবে।

মহাবিপর্যয় আর এই কথাগুলো রব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনের সূরা যিলযাল এইভাবে বলেছেন, ইজাজুল জিলা তিল তেল ছাড়া যখন পৃথিবী তার কম্পনে প্রকম্পিত হবে। যখন সে তার বোঝা বের করে দেবে ইনশাল্লাহ এবং মানুষ বলবি এর কি হল।

গ্রীন এই পৃথিবী সে তার বৃত্তান্ত নিজ মুখে বর্ণনা করবেন  না। কারণ আপনার পালনকর্তা তাকে ইট বর্ণনা করার আদেশ প্রদান করবেন।  দারুন্নাজাত আলিয়া সেদিন মানুষ বিভিন্ন দলে প্রকাশ পাবেই। যাতে তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম দেখানো হয়।

অতঃপর কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করলে তা দেখতে পাবি ও মাইয়া আমার মিসকল আগরবাতির সম্মেলন এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করলে। তাও সে দেখতে পাবে প্রিয় দর্শক আধুনিক বিজ্ঞান বহু গবেষণার পর ভূমিকম্পের মাধ্যমে পৃথিবী ধ্বংসের অর্থাৎ কেয়ামত ঘটার।

প্রায় দেড় হাজার বছর পূর্বে ফিরে যাই

এই তথ্যটি খুঁজে বের করেছে আমরা যদি আজ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর পূর্বে ফিরে যাই, তবে আমরা দেখতে পাবো সেই সময়ে রাসুলআল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের এই বিষয়ে সতর্ক করে গেছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেন যখন অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জিত হবে।

কাউকে বিশ্বাস করে সম্পদ গচ্ছিত রাখা হবে কিন্তু তার খিয়ানত করা হবে। যাকাতকে দেখা হবে জরিমানা হিসেবে ধর্মীয় শিক্ষা ছাড়া বিদ্যা অর্জন করা হবে পুরুষ তার স্ত্রীর আনুগত্য করবে। কিন্তু মায়ের সঙ্গে বিরূপ আচরণ করবে।

cad

বন্ধুকে কাছে টেনে নিয়ে পিতাকে সরিয়ে দেওয়া হবে। মসজিদে উচ্চস্বরে শোরগোল হবে। জাতির সবচেয়ে দুর্বল ব্যক্তিটি সমাজের শাসক রূপে আবির্ভূত হবে। সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি হবে নেতা। একজন মানুষ যে খারাপ কাজ করে খ্যাতি অর্জন করবে তাকে তার খারাপ কাজের ভয়ে সম্মান প্রদর্শন করা হবে।

বাদ্যযন্ত্র এবং নারী শিল্পীর ব্যাপক প্রচলন হবেই। মদ পান করা হবে । লোকজন তাদের পূর্ববর্তী মানুষগুলোকে অভিশাপ দেবে। এমন সময় তীব্র বাতাস প্রবাহিত হবে এবং ভূমিকম্প হবে। যার শ্রীভূমি কে তাড়িয়ে দেবে তিরমিজি হাদিস নম্বর 1467 হাদীস।

ভূমিকম্পের ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম শতশত বছর আগেই বলে গেছেন

থেকে আমরা স্পষ্ট দেখতে পাই যে ভূমিকম্পের কথা আধুনিক বিজ্ঞান সাম্প্রতিক সময়ে এসে বলছে।  সেই নাকি ভূমিকম্পের ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম শতশত বছর আগেই বলে গেছেন। এরপরেও যদি আমরা সতর্ক না হয় আলোর পথের না ফ্রি তবে এই পৃথিবীকে ধ্বংসের হাত থেকে, আর কোনো মতেই বাঁচানো যাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *