কলা বিক্রেতা থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী

Posted on

ছোটবেলায় রাস্তায় কফি আর কলা বিক্রি করত ছেলেটি কুকুরকে ভীষণ ভয় পেত। সে পথে কোনো কুকুর দেখলে প্রচন্ড ভয় ইদুর দিতে শুরু করলো । এই কুকুরের ভয় তাকে সব সময় অস্থির করে তুলতো।  একদিন ছেলেটি প্রতিজ্ঞা করলো সে আর কোনদিন ভয় পাবেনা । সিদ্ধান্ত নিল কুকুর দেখবে ।

কলা বিক্রেতা থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী

তখনই চোখ রাঙ্গিয়ে তাকাবে কুকুরের থেকে এই সিদ্ধান্ত কাজে দিল । এই সিদ্ধান্ত পাল্টে দিলো তার জীবনের মূল কারণ রক্তচক্ষুই আর ভয় পেত না । ছেলেটি সমস্যা এলেই হয়ে তার থেকে পালিয়ে নাকি তাকে মোকাবেলা করাটাই যেন ছেলেটার হবে হয়ে গেল যেকোন সমস্যার উৎস খুঁজে বের করা এবং চোখ রাঙ্গিয়ে সমস্যাকে মোকাবেলা করা তার স্বভাবে পরিণত হন  ।

এই স্বভাবে তাকে পৌঁছে দেয়ায় সাফল্যের চূড়ায়। যার কথা বলছি তিনি আর কেউ নন আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার ডক্টর মাহাথির বিন মোহাম্মদ।তার মেধা প্রজ্ঞা ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতা বিশ্বজুড়ে সমাদৃত সদাহাস্যোজ্জ্বল স্বতস্ফূর্ত এক অসাধারণ মানুষ দেখবো এশিয়ার নন্দিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মাহাথির মোহাম্মদ।

কলা বিক্রেতা থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী

সম্পর্কে 1920 সালের 10 ই জুলাই মালয়েশিয়ার উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর অ্যালার্ট সেন্টারিং নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মাহাথির মাহমুদ পিতা-মাতা ও সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন কনিষ্ঠতম। তার পিতা স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক ছিলেন।

একজন সরকারি অডিটর হিসেবে কাজ করেছেন

এবং পরবর্তীকালে একজন সরকারি অডিটর হিসেবে কাজ করেছেন । তাঁর পিতা ছিলেন অত্যন্ত সুশৃংখল একজন মানুষ শৃঙ্খলা এবং গুছিয়ে চলার যে সহযাত্রীদের পরবর্তী জীবনে খুঁজে পাওয়া । যায় সেটি তিনি তার পিতার কাছ থেকে পেয়েছেন বলা যায় পৃথিবীর সবচেয়ে সুশৃংখল প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন মাহাথির মোহাম্মদ খাতির ছোটবেলা থেকেই দারুন সুশৃংখল জীবনযাপন করতেন।

দেশের শক্তিশালী ভিত্তি গড়ার কারিগর এর জীবনের ভিত্তি কিন্তু গড়ে দিয়েছিলেন। তার বাবা-মা মাহাথিরের মা সাধারণ গৃহিণী হলেও ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন এবং মাতৃভাষায় পবিত্র কুরআন শিক্ষা দিতেন মাহাথির মনে করে ইসলাম ধর্ম আমাদের জীবনের অংশ থেকে পরিত্যাগ করার কোনো কারণ নেই ।

ধর্ম কখনও অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না ইসলাম শুধুমাত্র সপ্তম শতাব্দীর ধর্ম নয় ইসলাম অবশ্যই সর্বকালের ধর্ম ছোটবেলায় খুব সাধারণ জীবন যাপন করতে । মাহাথির শৈশবে প্রথমেই মালয় উপরে ইংরেজি স্কুলের শিক্ষা লাভ করেন শিক্ষাজীবন শুরু করেন।

সেভেরাল প্রাইমারি স্কুলে পড়ে আলো চ্যাপ্টারের গভমেন্ট স্কুলে ভর্তি হন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় 1941 সালে জাপান মালয়েশিয়াকে আক্রমণ করে। ইংরেজি মাধ্যমিক স্কুল তখন বন্ধ হয়ে যায় চালু হয় জাপানি স্কুল।
16 প্রথমে তিনি জাপানি স্কুলে যেতে চাননি।

মাহাথির স্থানীয় বাজারে কলা বিক্রি শুরু করেন

ওই সময় মাহাথির স্থানীয় বাজারে কলা বিক্রি শুরু করেন তিনি পরবর্তীতে বাধ্য হয়ে । ওই জাপানি স্কুলেই ভর্তি হন মালয়েশিয়ার জাপানি শাসন প্রায় তিন বছর স্থায়ী ছিল 947 সালে তিনি সিঙ্গাপুরে কিং এডওয়ার্ড মেডিসিন কলেজে ভর্তি হন এবং চিকিৎসা শাস্ত্রে অধ্যয়ন সমাপ্ত করেন ।

এসময় মাতির মানুষ জাতির বিভিন্ন সমস্যার তুলে ধরে বিভিন্ন পত্রিকা ও ম্যাগাজিন নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন । মূলত লেখালেখির শুরু তার এই শিক্ষা জীবন থেকে 1953 সালে তিনি সিঙ্গাপুর থেকে মালয়েশিয়ার ফিরে আসেন। সিঙ্গাপুরের পড়ার সময় মাহাথিরের সাথে ইতিহাস মোহাম্মদ আলীর পরিচয় ।

ইতিহাস মা তখন নারী হিসাবে সিঙ্গাপুরি বৃত্তি নিয়ে একই কলেজের চিকিৎসাশাস্ত্রে পড়াশোনা করছেন 1954 সালের 5 ই আগস্ট জাতির ইতিহাস মা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তখন মাহাথিরের বয়স ছিল 30 বছর এবং তার ডক্টর স্ত্রীর ইতিহাস মার বয়স ছিল 22 বছর তাদের মোট সাতজন সন্তান আছে ।

যাদের মধ্যে তিন জনকে তার দত্তক নিয়েছিলেন পরিবার সম্পর্কে মাহাথির বলেন প্রত্যেকেরই নিজ পরিবার হচ্ছে। পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা যা আমাদের এই জুটির সমাজটাকে কিছুটা স্থির করে1953 সালে সিঙ্গাপুর থেকে ফিরে এসে মাহাথির ।

একজন চিকিৎসক হিসেবে চাকরিতে যোগ দেয়

একজন চিকিৎসক হিসেবে চাকরিতে যোগ দেয় মালয়েশিয়ার স্বাধীনতার পূর্বে তিনি চাকরি ছেড়ে নিজ শহরে আমি একটি প্রাইভেট ক্লিনিক শুরু করেন তিনি রোগীদের বাড়িতে যেতেন এবং মাঝে মাঝে ছোটখাটো অস্ত্রোপচার করতে মাহাথিরের চিকিৎসক হিসেবে ।

তার প্রশিক্ষণও প্র্যাকটিস তার মধ্যে বিরোধ আইন এবং তাকে যেকোনো পরিস্থিতির মূল্যায়ন করতে সক্ষম করেছিল তিনি বলেন, চিকিৎসাবিদ্যায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোকের জন্য রাজনীতি একটি ভালবাসা’ একজন ডাক্তার রোগীকে পর্যবেক্ষণ।

স্বাস্থ্যগত ইতিহাস রেকর্ড করেন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন ল্যাব পরীক্ষা করেন এবং চূড়ান্তভাবে রোগ নির্ণয় করেন এই প্রক্রিয়াটি রাজনীতির মতই মাহাথিরের বয়স যখন 30 বছরের একটু বেশি তখন তিনি রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন সহপাঠীদের একত্র করি তিনি গোপনে ইউনিয়ন প্রস্তাবের বিরুদ্ধাচারণ শুরু করে ।

দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে পরাজিত জাপানিরা চলে যাওয়ার পূর্বে তৎকালীন মালয়েশিয়াকে তারা স্থায়ী সরকারের শাসনাধীনে হস্তান্তর করে । পরবর্তীতে ব্রিটিশ আবার ফিরে আসে এবং ইউনিয়ন সত্যিকার অর্থে একটা সম্পূর্ণ উপনিবেশ মাহাথির ও তার বন্ধুরা রাতের অন্ধকারের ।

ব্রিটিশ বিরোধী হিসেবে সংগঠিত ও সক্রিয় করার কাজে ব্যস্ত থাকতে মাটির

সারা শহরে রাজনৈতিক পোস্টার লাগাতে তাদের উদ্দেশ্য ছিল সীমিত ইউনিয়ন প্রস্তাবের সমাপ্তি প্রজাতন্ত্রের মর্যাদায় সাইকেল চালিয়ে তারা সমগ্র প্রদেশ ঘুরিয়ে জনগণকে, ব্রিটিশ বিরোধী হিসেবে সংগঠিত ও সক্রিয় করার কাজে ব্যস্ত থাকতে মাটির প্রাথমিক বিদ্যালয় যুব ইউনিয়ন।

কাদাম আলোয় ইউনিয়ন নামে একটি রাজনৈতিক দল সংগঠিত করেন  ,যা পরবর্তীতে ইউনাইটেড ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন বা u.n.o. নামে পরিচিত হয়। সিঙ্গাপুর থাকাকালীন মাহাথির সেখানে কলেজের মালয় ছাত্রদের নিয়ে মালয় ছাত্র সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন তবে ।

এই সংগঠনের উদ্দেশ্য ছিল ছাত্র দের শিক্ষার মান ফলাফল উন্নয়ন করা এর কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল না মাহাথিরের রক্তে মিশে ছিল। দেশাত্মবোধ আর রাজনীতি সরকারি চাকরিতে থাকাকালীন তিনি সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হতে পারেননি ।

cgjj

ক্লিনিক চালু করার পর1947 সাল নাগাদ সাত বছর তিনি চিকিৎসক হিসেবে পেশা ধরে রেখেছিলেন তবে জাতীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত তা বাড়তে থাকে তার ইউ এন ও এর প্রাদেশিক শাখার ঊর্ধ্বতন পদে চাকরির নিয়োগ দেয়া হয় সাধারণ মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠে মাহাথির হাজার 964 সালে 39 বছর বয়সে গোটা এলাকা থেকে বিপুল।

গুটি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এমপি হওয়ার পর। তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করেন আমাদের সমস্যার কথা বলতে কিন্তু বারবার তিনি বাধাগ্রস্ত হয় হাজার 969 সালের 30 শে মে কুয়ালালামপুরের চীনা ও মানবজাতির মধ্যে তুমুল দাঙ্গার জন্য মাহাথির ইউ এন ও নেতৃত্ব কে দোষারোপ করে ।

প্রধানমন্ত্রী আব্দুর রহমানকে কড়া ভাষায় চিঠি লেখেন ও পদত্যাগের পরামর্শ দেন

প্রধানমন্ত্রী আব্দুর রহমানকে কড়া ভাষায় চিঠি লেখেন ও পদত্যাগের পরামর্শ দেন এর সমালোচনা পার্টির নেতৃবৃন্দ সহ্য করলো না তারা মাহাথিরকে দল থেকে বহিষ্কার করলেন 969 সালে তিনি একটি বই লেখেন যার নাম বাঙ্গালীদের উভয় সংকট তারপর বইটি নিষিদ্ধ ।

করা হয় পরবর্তী তিন বছরে তিনি নিজেই রাজনীতি থেকে নির্বাচনে ছিলেন। 1972 সালের 7 ই মার্চ মাহাথিরকে আবার দলের সদস্য ও স্থানের হিসাবে পুনর্বহাল করা হয় । পরবর্তীতে 1970 সালের নির্বাচনে তিনি এমপি নির্বাচিত হন। তাকে শিক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয় শিক্ষা মন্ত্রী হয়ে তিনি ঘোষণা দেন তার নামে কোন প্রতিষ্ঠানের নাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *