আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ আজকে আমি আপনাদের ভারতবর্ষের কেরালাতে বসবাসকারী একজন ব্যক্তির ঘটনা শুনাব। যে ঘটনা শোনার পর আপনার ইসলাম ধর্মের প্রতি আবেগ ভালোবাসা আরো বৃদ্ধি পাবে মনের অজান্তেই বলে উঠবেন। আল্লাহু আকবার সুবহানআল্লাহ ঘটনা আমাদের ঈমানকে তরতাজা করে।
একজন হিন্দু ব্যক্তি যখন মুসলিম হয়ে কাবা শরীফে
অবশ্যই শেষ পর্যন্ত দেখবে রাজধানীতে একজন ব্যক্তি বাস করতেন। তিনি মূলত প্রবাসী সৌদি আরবে এসেছিলেন এবং সেখানে একজন মুসলিম বন্ধু যার নাম সিদ্দিক তার সাথে বসবাস করতেন । রিয়াদ রিয়াদ থাকাকালীন রমেশ ইসলাম ধর্মের সঙ্গে ভীষণ ভাবে প্রভাবিত হয়ে গিয়েছিলেন ।
সেখানকার লোকজন এবং তাদের সংস্কৃতি তার মন কেড়ে নিয়েছিল। যার কারণে সে পবিত্র মনে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। এমনকি সে যখন কেরালায় তার বাড়িতে ফিরে গিয়েছিলেন । তখন তার হৃদয় ইসলামের জন্য ভালোবাসা একটুও কমেনি এবং অবশেষে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার নিয়েছিলেন।
সে সকলের সামনে ইসলাম ধর্ম কবুল করে নিয়েছিল
পরে সে সকলের সামনে ইসলাম ধর্ম কবুল করে নিয়েছিল । কারণ তার মতে ইসলাম ধর্মই হচ্ছে পৃথিবীর সবচাইতে সুন্দর ও শান্তিপ্রিয় ধর্ম নিজের ইচ্ছায় ইসলাম ধর্ম কবুল করলেন। তারপর সেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর নিজের নাম দিয়েছিলেন মুজাম্মিল।
এবং তার পূর্ববর্তী নাম ছিল তিনি প্রকৃত পক্ষে একজন হিন্দু ধর্মের অনুসারী ছিলেন । ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর সে একজন প্রকৃত মুসলমানের মত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজি হয়ে গিয়েছিলেন ,পাশাপাশি ইসলাম ধর্মে তত্ত্বের উপর চলতে শুরু করেন ।
ফলে এখন তার হৃদয় জেগে উঠেছিল, যে সে এখন একবারের জন্য হলেও মক্কা মদিনা জিয়ারত করবেন।এবং সে ওমরা হজে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলে আর এটা তো আমরা সকলেই জানি যে আল্লাহ তায়ালা তার সৎ ও নেক বান্দাদের দোয়া সর্বদা কবুল করে থাকেন পরবর্তীতে আল্লাহ তায়ালা এই নব মুসলিম মোজাম্মেলের স্বপ্ন পূরণ করে দিলেন তারপর মোজাম্মেল তার নতুন।
আমি পাসপোর্ট তৈরি করে মক্কা মদিনা জিয়ারতের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন । তবে বন্ধুরা এখানে একটি কথা স্মরণ রাখবেন যে ,রমেশ যিনি নিজের ধর্ম পরিবর্তন করে । হিন্দু থেকে মুসলমান হয়েছিলেন এবং আকর্ষী মুজ্জাম্মেল নামে ওমরা হজ করতে যাচ্ছেন। তিনি হজে যাওয়ার পূর্বে রব্বুল আলামীনের দরবারে দোয়া করেছিলেন তার শেষনিঃশ্বাস যেন পবিত্র মক্কা শহরে ত্যাগ করতে পারে ।
সেখানে দাফন করা হয়
এবং তা কি যেন সেখানে দাফন করা হয় মোজাম্মেল স্বয়নে স্বপনে ভাবতেও জীবনভর মূর্তির সামনে পূজা করেছি এ প্রভু তোমার দয়া ও রহমতে আমি এবং অদ্বিতীয় খোদাকে প্রভু তুমি দয়া করে আমাকে মক্কার পবিত্র স্থানে কবুল মঞ্জুর করো আমি যেন কিয়ামতের আগ পর্যন্ত সে স্থানে ঘুমোতে পারি ।
সে ব্যবস্থা করে দাও সে রাত জেগে প্রার্থনা করতে। হে আল্লাহ আমি আপনার দরবারে এসেছি আমাকে সেখানেই আপনার বাহুতে নিয়ে নিবেন এবং আমি যেন সেখানেই আমার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে পারি । আমি আর কোনো অবস্থাতেই শেখা।
- নামের কারনে মানুষ বিপদে পড়ে। বদলে ফেলুন আপনার নাম!
- বুদ্ধিমান মানুষেরা কখনো টেনশন করে না
- নবীজির সাথেই ব্লাক ম্যাজিক করা হয়েছিলো
থেকে ফিরে আসতে চাই না পরে যখন তার হৃদয় এমন মনো বাসনা জেগে উঠলো তখন সে নিজের সংঘ করে কাফনের কাপড় নিয়ে গেল আল্লাহু আকবার ।এবং ওমরা হজের জন্য রওনা দিয়ে দিলেন তারপর তিনি সর্বপ্রথম মক্কাতে গিয়েছিলেন।
তারপর সেখানে সমস্ত রকম নিয়মবিধি পালন করেন এবং তারপর তিনি মক্কা থেকে মদিনা তে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তিনি দুইদিন থেকে ছিলেন মদিনা থেকেও তিনি আল্লাহ তাআলার নিকট প্রার্থনা করেন যে হে আল্লাহ আপনি আমাকে আপনার হেফাজতে নিয়ে নিন।
আমি এইখান থেকে আর ফিরে যেতে চাই না
আমি এইখান থেকে আর ফিরে যেতে চাই না এবং মহান আল্লাহ তাআলার কুদরত দেখুন আল্লাহ তাআলা তার দোয়া কবুল করে নিয়েছিলেন । তার পর সে যখন ভোর বেলা ফজরের নামাজ আদায় করেছিলেন এবং সে যখন সিজদায় যান তারপর শেয়ার সিজদা থেকে উঠে নি ।
অর্থাৎ সিজদা দেওয়ার মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে নিকটবর্তী হয় । সেই নিকটবর্তী অবস্থায় রব্বুল আলামীন তাকে কবুল ও মঞ্জুর করেন । এখানে এসে আল্লাহতালা ডাকে সাড়া দিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন । ফলে আল্লাহতালার কাছে দোয়া করার শেষ ইচ্ছা।
অনুযায়ী তাকে সেখানেই দাফন করা হয়েছিল এবং এভাবেই তাঁর ইচ্ছা পূরণ হয়েছিল । আসলে মহান আল্লাহ তা’আলা এই সমস্ত ব্যক্তিদের প্রার্থনা এবং ইচ্ছা কবুল করে থাকেন। যাদের অন্তর পবিত্র এবং সৎ মনে আল্লাহ তায়ালার নিকট দোয়া এবং প্রার্থনা করেন এবং যার ঈমান মজবুত থাকে ।
কিন্তু আজকাল মানুষের ঈমান ইসলাম এবং আল্লাহ তায়ালার প্রতি ঈমান ততটা নিখুঁতি তারা পৃথিবীর প্রয়োজনে এতটাই ডুবে গিয়েছে যে তারা আখিরাতকে সম্পূর্ণভাবে ভুলে গিয়েছে কারণ আপনি একটু নিজে ভেবে দেখুন যে একজন অমুসলিম ব্যক্তি যিনি ঈমান নিয়ে পৃথিবীতে আসেননি।
শত নিখুঁতভাবে মুসলিম ধর্মের প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছিল
ইসলাম ধর্মের সৌন্দর্য তাকে এতটাই শত নিখুঁতভাবে মুসলিম ধর্মের প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছিল এবং পাক্কা ঈমানদার করে দিয়েছিল। যে সে একজন প্রকৃত আল্লাহর বান্দা হয়ে উঠেছে এবং আল্লাহ তা’আলা তাঁর সমস্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে দিয়েছেন কিন্তু আমরাতো ঈমানের সঙ্গে জন্মগ্রহণ করেছি ।
তা সত্ত্বেও আমরা পাক্কা ঈমানদার হতে পারিনি কোরআনে রব্বুল আলামীন বলেছিলেন একজন পাক্কা মুসলমান.
খুশি যে একজন পাক্কা ঈমানদার এবং সে মনেপ্রাণে আল্লাহ সর্বশক্তিমান বলে মনে করে এবং তার কাছ থেকেই সব কিছু চায় কিন্তু আজ মুসলিম। এবং ইসলাম ধর্ম পালনকারী কিছু লোকদের মধ্যে এমন জিনিস জন্ম নিয়েছে।
যার কারণে পুরো ইসলামকে এবং সেইসাথে পুরো মুসলমান জাতিকে ভুল পথে অদ্ভুত দৃষ্টিতে দেখা হচ্ছে এবং এ ভুল ধারণা মানুষের অন্তর থেকে দূর করার দায়িত্বটা অন্য কাউকে নিলেই চলবে না এটা মুসলমানদেরকে নিতে হবে আল্লাহ পৃথিবীর প্রত্যেকটি মুসলমানদেরকে কোরআনের উপর অবিচল করুন কোরআন অনুযায়ী জীবন যাপন করার তৌফিক দান করুক আমিন।