অমুসলিমদের বাড়িঘরে আগুন দেওয়ার পরিনাম! ও রাগ নিয়ন্ত্রণ এবং ধৈর্য্য ধারণ

Posted on

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ বিশ্ব মানবতার মুক্তিদূত মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুস্পষ্ট ভাষায় অমুসলিমদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বিধানের জন্য সাবধান বাণী উচ্চারণ করে বলেছিলেন ।

অমুসলিমদের বাড়িঘরে আগুন দেওয়ার পরিনাম! ও রাগ নিয়ন্ত্রণ এবং ধৈর্য্য ধারণ

তাদের রক্ত আমাদের রক্তের মতো এবং তাদের ধন-সম্পদ আমাদের ধন-সম্পদ এর মত যারা ও মুসলিমদের ধর্মীয় উপাসনালয় অগ্নিসংযোগ করে ঘরবাড়ি ।পুড়িয়ে দিয়ে তাদের জানমালের ক্ষতি সাধন করে যদি সে কোন মুসলিম হয়ে থাকে তবে সে যেন জেনে রাখি ।

অমুসলিমদের বাড়িঘরে আগুন দেওয়ার পরিনাম! ও রাগ নিয়ন্ত্রণ এবং ধৈর্য্য ধারণ

এই অপরাধের জন্য রব্বুল আলামীন তাকে কোনদিন ছেড়ে দেবে না। আসলেই বিষয়ে একটি শিক্ষণীয় সত্য ঘটনা জেনে নেই যে, আপনার অন্তরাত্মাকে কম্পিত করবে আল্লাহর অলি এমন এক জায়গায় বসবাস করতেন। যার চারপাশে ছিল বিধর্মীদের বসতি তিনি যে স্থানে থাকতেন।

বাকি সকলেই ছিল বিধর্মী

সেখানে তিনি বাদে বাকি সকলেই ছিল বিধর্মী এমন স্থানে বসবাস করা। বিধর্মীদের মাঝে একমাত্র মুসলমান হয়ে জীবন যাপন করা কতটা দুঃসাধ্য তা নিশ্চয়ই বলার অপেক্ষা রাখে না। সে বিধর্মীরা নানাবিধ সমস্যা তৈরি করে ওই মুমিন বান্দা কি এলাকা থেকে বিতাড়িত করতে চায়।

কিন্তু ওই মুমিনরা সবসময় একটা কথা বলে সে বলে এটা আমার বাপ দাদার ভিডিও যতকিছুই তোমরা আমাকে করো না কেন আমি এখান থেকে কোথাও যাবো না। এরপর থেকে সকল বিধর্মী একজোট হয়ে ওই ব্যক্তিকে এলাকা থেকে বিতাড়িত করার জন্য জোট গঠন করে ফলশ্রুতিতে তারা তাদের সারাদিনের মহিলা একত্রিত করতে।

এবং সেই মুমিন ব্যক্তির ঘরের সামনে ফেলে আসে তাদের ধারণা ছিল এটি করলে ওই মুমিন বান্দার রেগেমেগে বিরক্ত হয়ে সেই এলাকা ত্যাগ করবে করবে। কিন্তু পরদিন সকালে যখন ঐ ব্যক্তি দরজা খুলে দেখলেন তার ঘরের সামনে পুরো এলাকার ময়লা ফেলা হয়েছে।

তিনি একটুও রাগ করলেন না তিনি চিৎকার চেঁচামেচি তো দূরের কথা তিনি ময়লাগুলো। দেখে নিজ হাতে সেগুলোকেই সেখান থেকে সরিয়ে নির্ধারিত স্থানে ফেলে।  কিন্তু এতেই থেমে যায়নি বিধর্মী পরিবারগুলো তারা একই কাজ মাসের পর মাস ধরে চালিয়ে যাচ্ছিল ।

চিৎকার-চেঁচামেচি ছাড়া সেই ময়লা পরিষ্কার করেই চলেছেন

আর আল্লাহর সেই ওলিও মাসের পর মাস ধরেই কোনো রকম অভিযোগ বা চিৎকার-চেঁচামেচি ছাড়া সেই ময়লা পরিষ্কার করেই চলেছেন। তিনি একবারের জন্য এই বিষয়ে কাউকে কিছু বলেননি এভাবে বহু মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পর একদিন সেই বিধর্মীদের মাঝে একটু লজ্জা বোধ তৈরি হলো।

তারা সেদিন আর ঐ ব্যক্তির ঘরের সামনে ময়লা ফেললো না সকালবেলা ঘরের সামনে ময়লা দেখতে না পেয়ে আল্লাহর শিউলি সোজা ছুটে গেলেন তার প্রতিবেশীদের বাড়িতে। একটি একটি করে প্রতিটি ঘরে তিনি গেলেন এবং বললেন আজ কি মনে হয় আপনারা ময়লা ফেলতে ভুলে গেছেন।

তাই আমি এসেছি আপনাদের ময়লাগুলো নিয়ে যাওয়ার জন্য সে মুমিন বান্দার এমন আচরণে সেখানে। সকল বিধর্মীরা হতভম্ব হয়ে গেল তারা বলতে লাগলো। তুমি মানুষ নাকি ফেরেশতা আমরা যে দিনের পর দিন ধরে এমন টা করলাম তোমার কি রাগ লাগেনি তুমি কি ক্ষুব্ধ হওনি তোমার কি একটি বারের জন্য প্রতিশোধ নিতে মন চায়নি।

উত্তরে সে মুমিন বান্দা বললেন মানুষ হিসাবে রাখবা প্রতিশোধ পরায়নতা ঘুমটা জাগা স্বাভাবিক কিন্তু আমি সেটা করি নি কেননা এটাই আমার ধর্মের শিক্ষা। আমার প্রিয় নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসলমানদের শিখিয়ে গেছেন কখনো অন্যের ক্ষতি করো না।

মানুষ হিসেবে রাগটা আমার মাঝেও ছিল

তোমার কারণে কখনো যেন কেউ কষ্টে না থাকুক যতই বিপদ আসুক না কেন ধৈর্য্য ধারণ কর আল্লাহ তোমাকে সাহায্য করবেন শুধুমাত্র। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালামের হাদিস টি পালন করার জন্য আমি কিছু বলিনি নয়তো।

মানুষ হিসেবে রাগটা আমার মাঝেও ছিল। রাসূল সাল্লাল্লাহু সালামের হাদিস কে প্রাধান্য দিয়ে আমি আমার। আকিদা ফোন করে দিয়েছে। এমন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে মুগ্ধ হয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সেই বিধর্মী পরিবারগুলো কালেমা পড়ে মুসলমান হয়েছে।

এতে কিন্তু কোন সংঘাতের প্রয়োজন পড়েনি কোন সহিংসতারও প্রয়োজন পড়েনি এর থেকে বোঝা যায় রাগ নিয়ন্ত্রণ এবং ধৈর্যের ফল কতটা মধুর হতে পারে।  আল্লাহ রব্বুল আলামীন আমাদের কাছ থেকে সিদ্ধ টাইছান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের আখলাক এবং চারিত্রিক সুন্দর্য দিয়ে যেন আমরা বিধর্মীদের অন্তরে করিনি।

op

যে সকল মুসলমান নামের কুৎসিত লোকগুলোও বোমাবাজি করে ইসলাম ধর্ম কে প্রচার করতে চায় তারা আসলে ইসলাম ধর্ম কে প্রচার করছে না। তারা ইসলামের বদনাম করছে সহিংসতা দিয়ে পৃথিবীর বুকে কোন দিন ইসলাম বিজয় লাভ করেনি ইসলাম বিজয় লাভ করেছে সুন্দর এবং উত্তম চরিত্রের মাধ্যমে ইসলামী জয়লাভ করেছে এর ধারক এবং বাহক এর।

প্রতি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে কোনো সহিংসতার শিকার হয়ে থাকে

উত্তম আচরণের মাধ্যমে আপনি যদি প্রকৃত মুসলমান হয়ে থাকেন। আপনার পার্শ্ববর্তী কোন সংখ্যালঘু অথবা ভিন্ন ধর্মাবলম্বী প্রতি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে কোনো সহিংসতার শিকার হয়ে থাকে। তবে প্রকৃত মুসলিম হিসেবে আপনার করনীয় হচ্ছে,  তার পাশে এসে দাঁড়াল তাকে খাদ্য অর্থ সহায়তা প্রদান করা।

নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে তাকে আশ্রয় দেওয়া তাকে তাকে বুঝতে দেওয়া একজন মুসলমান হিসাবে আপনি কতটা কোমল হৃদয়ের অধিকারী যে শিক্ষা আপনি আপনার প্রিয় নবী মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে পেয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *